বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। দলের ভেতরে প্রতিযোগিতা থাকবে, এটি স্বাভাবিক। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা থেকে কোনো সংঘাত-সংঘর্ষ কাম্য নয়। বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে। কোনো লোভ-লালসার সঙ্গে বিএনপির আদর্শ যায় না। তবু যারা এসব করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো দল প্রতিনিয়ত ব্যবস্থাও নিচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। 

সারাদেশে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুনোখুনি নিয়ে সমকালের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে অবস্থান করা বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে এখন যেটি ঢালাওভাবে বলা হচ্ছে, সেটি অপপ্রচার। কারণ, যখনই কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, সেটি যত বড় নেতার বিরুদ্ধেই হোক, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলের মধ্যে এখন অনেক সুবিধাভোগী প্রবেশ করছে। এরাই মূলত বিভিন্ন অপকর্ম করছে। আর এর দায় নিতে হচ্ছে পুরো দলকে। এদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

রিজভী আরও বলেন, গত ১৬ বছরে বিএনপির প্রত্যেক নেতাকর্মীর জীবন তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজন। অনেককে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ঘরবাড়িছাড়া করা হয়েছে। ফলে ৫ আগস্টের পর যেভাবে প্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা, সেটি তো হয়নি। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস থ ব এনপ র ন ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ