জয়পুরহাটে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শিশুকে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
Published: 9th, April 2025 GMT
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ লোকজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করেছে। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে। আজ বুধবার উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক আবদুল কুদ্দুসের (৬২) বাড়ি পাশের কালাই উপজেলার আতাহার গ্রামে। তিনি দিনমজুরির পাশাপাশি ক্ষেতলালের ওই গ্রামের এক প্রবাসীর নির্মাণাধীন বাড়ি দেখভাল করেন।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নির্মাণাধীন ওই বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় বাড়িটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা আবদুল কুদ্দুস শিশুটিকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। প্রতিবেশী এক নারী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে লোকজনকে জানান। লোকজন এসে বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে কুদ্দুসকে বাড়ির দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলে দেননি। একপর্যায়ে কুদ্দুস শিশুটিকে বাড়ির ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেন। এতে লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে নির্মাণাধীন বাড়ির একটি জানালা ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর কুদ্দুসকে বাড়ির বাইরে বের করে এনে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বীরেন্দ্র সিং বলেন, আবদুল কুদ্দুস একটি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। গ্রামবাসী তাঁকে মারধর করে আটকে রেখেছে—৯৯৯–এ এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তিনি বলেন, আবদুল কুদ্দুসকে আটক করা হয়েছে। শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় মামলা করেননি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল ক দ দ স
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি