দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অগ্নিকাণ্ডের প্রায় এক ঘণ্টা পর আজ সকাল আনুমানিক ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। এ সময় চতুর্থ তলার অতিথি কক্ষে আটকে পড়া দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) যুগ্ম পরিচালক রবিউল ইসলাম ও দিনাজপুর এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মুন্নাফ হোসেন। তাঁদের মধ্যে রবিউল ইসলাম সামান্য আহত হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের দ্বিতীয় তলায় বৈদ্যুতিক ডিবি বোর্ড থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। এ বিষয়ে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর পাঁচটা পাঁচ মিনিটে আমরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করেছে। চতুর্থ তলার দুই প্রান্তের দুটি কক্ষে দুজন আটকে পড়েন। তাঁদের একজনকে জানালার গ্রিল কেটে উদ্ধারের পর দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অন্যজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।’

দিনাজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ভবনের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডে অফিসের কিছু ফাইলপত্র পুড়ে গেছে। চতুর্থ তলার আবাসিক কক্ষে দুজন অতিথি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন সামান্য আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ২২৪

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭৭ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ