অভিযোগপত্রে আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ দিতে ওসিকে বিএনপি নেতার চিঠি, ব্যাখ্যা তলব
Published: 10th, April 2025 GMT
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে একটি মামলার অভিযোগপত্র থেকে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নাম বাদ দিতে থানায় লিখিত সুপারিশ করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদেকুল ইসলাম। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে তাঁর কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা বিএনপি।
জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী স্বাক্ষরিত ওই চিঠি তাঁকে পাঠানো হয়। চিঠির অনুলিপি বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক ও আমিনুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা বিএনপি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যাখ্যা তলবের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি নেতা সাদেকুল ইসলাম সম্প্রতি ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের মামলার অভিযোগপত্র থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতার নাম বাদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন।
এ ছাড়া ফজলুপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবদুল হাকিমকে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ফজলুপুর ইউনিয়ন শাখার (প্রস্তাবিত) সভাপতি করার জন্য প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন সাদেকুল ইসলাম। যুবলীগ নেতা হাকিম ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁর পক্ষে আদালতে সাক্ষ্যও দিয়েছেন তিনি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাত দিনের মধ্যে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাঁকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
থানায় সুপারিশের কথা স্বীকার করে বিএনপি নেতা সাদেকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁদের নামে সুপারিশ করেছি, তাঁরা বিএনপির নেতা–কর্মী। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ফজলুপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় নির্বাচনী প্রতিহিংসাবশত কয়েকজন বিএনপির নেতা–কর্মীর নাম দেওয়া হয়েছে। আমি সভাপতি হিসেবে তাঁদের জন্য সুপারিশ করেছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স দ ক ল ইসল ম স প র শ কর ছ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর ইউক্রেন–যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি সই
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর দেশ দুটি একটি চুক্তিতে সই করেছে। এর ফলে ওয়াশিংটন কিয়েভের মূল্যবান দুর্লভ খনিজসম্পদে প্রবেশাধিকার পাবে ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তার পুনর্গঠনে তহবিল জোগান দেবে।
গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ চুক্তি সই হয়। এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোর দরকষাকষি করে দুই দেশ। চুক্তি সই হওয়ার ব্যাপারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কিছু অনিশ্চয়তা থাকলেও অবশেষে এটি সম্পন্ন হয়।
যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।
চুক্তি সইয়ের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন পুনর্গঠন বিনিয়োগ তহবিল’ প্রতিষ্ঠা রাশিয়ার প্রতি একটি বার্তা যে, ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘমেয়াদে এক স্বাধীন, সার্বভৌম ও সমৃদ্ধ ইউক্রেন গড়ার শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ চুক্তি একটি অগ্রগতি নির্দেশ করছে। গত মার্চে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বৈঠকের পর এ সম্পর্ক তলানিতে নেমেছিল।স্কট বেসেন্ট আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার এ ভাবনা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের; যা একটি টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধ ইউক্রেনের প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতিই প্রতিফলিত করে।’
‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না’, বলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী।
ট্রাম্প প্রশাসন এ চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।
ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন পুনর্গঠন তহবিলে’ যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা সামরিক সহায়তার মাধ্যমে অবদান রাখবে এবং কিয়েভ তার প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে পাওয়া রাজস্বের ৫০ শতাংশ তহবিলে দেবে।
স্পষ্ট করে বলতে গেলে, রাশিয়ার যুদ্ধচেষ্টায় অর্থ বা অন্যান্য সহায়তাদানকারী কোনো রাষ্ট্র বা ব্যক্তিকে ইউক্রেনের পুনর্গঠন থেকে উপকৃত হতে দেওয়া হবে না।স্কট বেসেন্ট, মার্কিন অর্থমন্ত্রীমন্ত্রণালয় আরও জানায়, তহবিলের সম্পূর্ণ অর্থ প্রথম ১০ বছর শুধু ইউক্রেনে বিনিয়োগ করা হবে, এরপর ‘লাভ অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হতে পারে’। তহবিলে দুপক্ষের সমান সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে। এ চুক্তি শুধু ভবিষ্যতের মার্কিন সামরিক সহায়তায় নজর দেব, অতীতের সহায়তা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।
ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সিরিদেনকো বলেন, ‘আমরা শুধু বিনিয়োগই পেতে যাচ্ছি না; বরং এমন একটি কৌশলগত অংশীদারকেও পাচ্ছি, যারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে সহায়তা করতে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার ফাঁকে এক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল ভ্যাটিকান সিটিতে