যুক্তরাষ্ট্রের হাডসন নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি সিমেন্সের কর্মকর্তা অগুস্তিন এসকোবার সপরিবার নিহত হয়েছেন। তিনি স্পেনে সিমেন্সের রেল অবকাঠামো বিভাগের নির্বাহী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জার্সি সিটির কাছে হাডসন নদীতে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় হেলিকপ্টারের পাইলটসহ ছয় আরোহী নিহত হন।

আরও পড়ুননিউইয়র্কে হাডসন নদীতে পড়ল হেলিকপ্টার, ছয়জন নিহত৮ ঘণ্টা আগে

যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, সিমেন্সের নির্বাহী অগুস্তিন এসকোবার তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিউইয়র্ক সিটিতে ভ্রমণ করছিলেন। এ সময় তাঁদের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় এবং সবাই নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘটনার সময় তাঁরা একটি বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তারপর হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়তে দেখেছেন তাঁরা।

ঊর্ধ্বতন এক আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা বলেছেন প্রযুক্তি কোম্পানি সিমেন্সের রেল অবকাঠামোর প্রধান নির্বাহী অগুস্তিন এসকোবার, তাঁর তিন সন্তান ও তাঁর স্ত্রী ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন। ঘটনার পর হিমশীতল নদী থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে, তবে কেউ বেঁচে নেই। ঘটনার সংবেদনশীলতার কারণে ওই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা তাঁর নাম প্রকাশ করেননি।

আরেক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সিমেন্সের নির্বাহী ও তাঁর পরিবার নিহত হয়েছেন। হেলিকপ্টারের পাইলটও নিহত হয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ