‘মহাকাশ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বাংলাদেশ ও তুরস্কের জন্য লাভজনক হবে’
Published: 12th, April 2025 GMT
মহাকাশ প্রযুক্তিতে ঢাকার একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার প্রয়োজন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক যদি একে অন্যকে সহযোগিতা করে, তাহলে উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তুরস্কে ‘আনাতোলিয়া কূটনীতিক ফোরামের (এডিএফ) ফাকে ‘টার্কিশ এয়ারোস্পেস’-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহমেত ডেমিরোগ্লুর সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন। বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো.
বৈঠকে উভয় পক্ষ বাংলাদেশে বিনিয়োগের খাত অন্বেষণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আমন্ত্রণে মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সুযোগ অন্বেষণ ও ভবিষ্যতে সহযোগিতার জন্য ‘টার্কিশ এয়ারোস্পেস’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে তুরস্কের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসতে সম্মত হয়েছে।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার তুরস্কের আনাতোলিয়ায় তিন দিনব্যাপী ‘আনাতোলিয়া কূটনীতিক ফোরাম (এডিএফ)-২০২৫’ শুরু হয়েছে। এই ফোরামের প্রতিপাদ্য হলো, ‘বিভক্ত বিশ্বে কূটনীতি পুনরুদ্ধার’।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ফোরামের আয়োজন করেছে।
বিশ্বনেতা, নীতি-নির্ধারক, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়েছেন ফোরামে। এই ফোরামের মাধ্যমে কিভাবে কূটনীতির পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া যায় এবং একটি বিভক্ত বিশ্বে সম্মিলিত পদক্ষেপের একটি সাধারণ ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়, তা অনুসন্ধান করার কথা জানিয়েছেন আয়োজকরা।
২০ জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, ৫০ জনেরও বেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৭০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ৬০ জন সিনিয়র প্রতিনিধি, পাশাপাশি শিক্ষার্থীসহ ৪ হাজার জনেরও বেশি অতিথি ফোরামে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র ত রস ক র ক টন ত মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক, গঠনমূলক, ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত। যেখানে দুই দেশ পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে। আর দুই দেশের জনগণই হবে অংশীদারত্বের অংশীজন।
গত সোমবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ২০২৫ সালে এনডিসি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ভারতীয় হাইকমিশনার তাঁর বক্তৃতায় ভারতের পররাষ্ট্রনীতি ও উন্নয়ন কৌশল তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা, বৈশ্বিক শাসনকাঠামোর সংস্কার এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের স্বার্থ রক্ষায় ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার পাশাপাশি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও দ্রুত জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন।
তিনি ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার—‘প্রতিবেশী প্রথমে’, ‘পূর্বমুখী নীতি’, ‘মহাসাগর নীতি’ এবং ভারতের ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় রূপকল্পের আওতায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং ভৌগোলিক ঘনিষ্ঠতা আরও জোরদার করা উচিত। যাতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষাকে এমন সব সুযোগে পরিণত করবে, যা পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশ বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সংহতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। বিমসটেকের সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত এবং এটি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে প্রবৃদ্ধির সুযোগগুলোর বাস্তবায়নে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে।