সরকারি উদ্যোগে নিউবর্ন হাব ও শরিয়াহভিত্তিক হিউম্যান মিল্ক স্টোরেজ সেন্টার গড়ে তোলাসহ ১২ এপ্রিলকে জাতীয় পথনবজাতক দিবস ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে ‘ডা. মুজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশন’। বিশ্ব পথশিশু দিবস উপলক্ষে শনিবার র‌্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. মজিবুর রহমান মুজিব এ দাবি জানান। 

চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন পায়রা উড়িয়ে র‌্যালির উদ্বোধন করেন। র‌্যালিতে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হুমায়ুন কবির মঞ্জু, বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালের চেয়ারম্যান মাহমুদা সুলতানা আসমা, আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের একাডেমিক পরিচালক প্রফেসর ডা.

সুফিয়া খাতুন, স্কিল ল্যাব সাব-কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. আহমেদ মুর্তজা, ইঞ্জিনিয়ার উমাশাহ উমায়ুন মনি, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে কদম ফোয়ারায় গিয়ে শেষ হয়।

লিডো’র সভা, মোবাইল ক্লিনিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক পথশিশু দিবস উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন লিডো আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পথশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

শনিবার লিডো পিচ প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন লায়ন্স ক্লাবের চেয়ারম্যান এ.কে.এম. রেজাউল হক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এমরান খান, একমাত্রা সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুভাশিষ রায় ও কো-ফাউন্ডার হিরোকি ওয়াতানাবে, লিড'ন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হেলাল উদ্দিন লিটন প্রমুখ। 

দিবসটি উপলক্ষে খাবার বিতরণের পাশাপাশি লিডো এর কর্ম এলাকা কমলাপুর এবং পিচ হোম-এ মোবাইল ক্লিনিক ও হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়, যেখানে শতাধিক শিশুকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, ওষুধ ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। পরে পিস হোমের শিশুদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। শিশু ও অতিথিদের অংশগ্রহণে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।

আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।

আরো পড়ুন:

মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি

তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন

সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।

দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।

৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।

কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”

তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় যুবদল নেতা শাহিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া  
  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি