Samakal:
2025-11-03@13:22:10 GMT

কাহিনী কাব্য থেকে

Published: 13th, April 2025 GMT

কাহিনী কাব্য থেকে

মহুয়া ও নদের চাঁদের প্রেমালাপ 
এক দিন নদ্যার ঠাকুর পন্থে করে মেলা। 
ঘরের কুনায় বাতি জ্বালে তিন সন্ধ্যার বেলা॥ 
তাসা কইরিয়া বাদ্যার ছেড়ী ফিরে নিজের বাড়ী । 
নদ্যার ঠাকুর পথে পাইয়া কহে তড়াতড়ি৷ 
শুন শুন কইন্যা ওরে আমার কথা রাখ। 
মনের কথা কইবাম আমি একটু কাছে থাক॥ 
সইন্ধ্যা বেলায় চান্নি উঠে সূরুয বইসে পাটে।
হেন কালেতে একলা তুমি যাইও জলের ঘাটে 
সইন্ধ্যা বেলা জলের ঘাটে একলা যাইও তুমি। 
ভরা কলসী কাঙ্কে তোমার তুল্যা দিয়াম আমি ॥
কলসী করিয়া কাঙ্কে মহুয়া যায় জলে। 
নদ্যার চান ঘাটে গেল সেইনা সইন্ধ্যা কালে 
“জল ভর সুন্দরী কইন্যা ভালে দিছ মন। 
কাইল যে কইছিলাম কথা আছে নি স্মরণ।” 
“শুন শুন ভিন দেশী কুমার বলি তোমার ঠাই । 
কাইল বা কি কইছলা কথা আমার মনে নাই।” 
“নবীন যইবন কইন্যা ভুলা তোমার মন। 
এক রাতিরে এই কথাটা হইলে বিস্মরণ।” 
“তুমি ত ভিন দেশী পুরুষ আমি ভিন্ন নারী। 
তোমার সঙ্গে কইতে কথা আমি লজ্‌জায় মরি॥” 
“জল ভর সুন্দরী কইন্যা জলে দিছ ঢেউ। 
হাসি মুখে কওনা কথা সঙ্গে নাই মোর কেউ। 
কেবা তোমার মাতা কইন্যা কেবা তোমার পিতা । 
এই দেশে আসিবার আগে পূর্ব্বে ছিলে কোথা॥” 
“নাহি আমার মাতাপিতা গর্ভ সুদর ভাই। 
সুতের হেওলা অইয়া ভাইস্যা বেড়াই। 
কপালে আছিল লিখন বাইদ্যার সঙ্গে ফিরি।
নিজের আগুনে আমি নিজে পুইরা মরি।
এই দেশে দরদী নাইরে কারে কইবাম কথা। 
কোন জন বুঝিবে আমার পুরা মনের বেথা।
মনের সুখে তুমি ঠাকুর সুন্দর নারী লইয়া। 
আপন হালে করছ ঘর সুখেতে বান্ধিয়া”
 ঠাকুর বলে “কইন্যা তোমার শানে বান্ধা হিয়া।
মিছা কথা কইছ তুমি না কইরাছি বিয়া।” 
“কঠিন তোমার মাতাপিতা কঠিন তোমার প্রাণ। 
এমন যইবন তোমার যায় অকারণ॥ 
কঠিন তোমার মাতাপিতা কঠিন তোমার হিয়া। 
এমন যইবন কালে নাহি দিছে বিয়া।” 
“কঠিন আমার মাতাপিতা কঠিন আমার হিয়া।
তোমার মত নারী পাইলে করি আমি বিয়া”
“লজ্জা নাই নির্লজ্‌জ ঠাকুর লজ্জা নাইরে তর। 
গলায় কলসী বাইন্দা জলে ডুবা মর।” 
“কোথায় পাব কলসী কইন্যা কোথায় পাব দড়ী।
তুমি হও গহীন গাঙ্গ আমি ডুব্যা মরি।”
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে বিবাহবিচ্ছেদের চার দিনের মাথায় লাউখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার

পঞ্চগড়ে স্বামীর মৃত্যুর দুই বছর পর সন্তানদের রেখে গোপনে বিয়ে করে ঘর ছেড়েছিলেন এক নারী। দ্বিতীয় বিয়ের প্রায় এক মাস পর বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এ ঘটনার চার দিনের মাথায় বাড়ির পাশের লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ধামোর মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেত থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর নাম তানজিনা আক্তার (৩৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানজিনার দ্বিতীয় স্বামী মিনাল হোসেনের বাবা দিলু হোসেনকে (৫৫) হেফাজতে নিয়েছে আটোয়ারী থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, তানজিনা আক্তারের প্রথম স্বামী মজিবর রহমান প্রায় দুই বছর আগে মারা যান। তাঁদের দুটি ছেলে আছে। এর মধ্যে প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় যুবক মিনাল হোসেনকে (২৭) গোপনে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। এর পর থেকেই মিনালকে ছেড়ে দিতে তানজিনার ওপর চাপ দিতে থাকে মিনালের পরিবার। গত ৩০ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই মিনালকে এলাকায় দেখা যায়নি।

পুলিশ জানায়, আজ সকালে ধামোর-মধ্যপাড়া এলাকার একটি লাউখেতে কয়েকজন লাউ তুলতে গিয়ে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। এ সময় স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশটি তানজিনার বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বারঘাটি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও আটোয়ারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক সুরতহালে ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ