রাজউকের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলাম নববর্ষের প্রথম দিনে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় রাস্তা প্রশস্তকরণ সম্পর্কিত জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজাবাজারে তিনি রাস্তার দুই পাশের বাড়ির মালিকদেরসহ অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং রাস্তা প্রশস্তকরণের সুবিধাগুলো তাদের কাছে তুলে ধরেন।

পরিদর্শনকালে রাজউক চেয়ারম্যান রাজউকের জোন-৫ এর সাবজোন ৫/২ এর আওতাধীন পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় বসবাসরত জনগণের নিত্যদিনের যানজট ও চলাচলের অসুবিধা নিরসনকল্পে ড্যাপের প্রস্তাবনা অনুযায়ী বিদ্যমান রাস্তাগুলো ৩০ ফুট প্রশস্তকরণের নিমিত্তে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঘুরে দেখেন।

আরো পড়ুন:

বাসচালকে মারধরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক  

মোটরসাইকেলের বেপরোয়া গতি, প্রাণ গেল যুবকের

এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান রাজউকের চলমান কার্যক্রমগুলো অবহিতকরণসহ রাস্তা প্রশস্তকরণের ফলে যেসব সুযোগ সুবিধা এলাকার বাসিন্দারা পাবেন, সে সম্পর্কে বাসিন্দাদের সম্যক ধারণা দেন। এছাড়া তিনি বাসিন্দাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা এবং তাদের কাছে থেকে সুচিন্তিত মতামত নেন।

এছাড়া বিদ্যমান অসুবিধাগুলো দ্রুত নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

এ প্রসঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো.

রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “পূর্ব রাজাবাজার এলাকার যানজট নিরসনে ড্যাপের প্রস্তাবনা অনুযায়ী এবং এলাকাবাসীর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধক স্থাপনাগুলো লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে এবং ভবন মালিকদের দায়িত্ব সেগুলো নিজ দায়িত্ব অপসারণ করা। যেকোনো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে রাজউক সেক্ষেত্রে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

তিনি আরো বলেন, “রাজধানীবাসীর কাছে একটি বাসযোগ্য নগরী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে যেকোনো সমস্যা সমাধানে রাজউক বর্তমানে সর্বোচ্চ দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। জনসাধারণের সহযোগিতায় রাজউক সংশ্লিষ্ট সবাই একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সদা সচেষ্ট। এমনকি নববর্ষের প্রথম দিন ছাড়াও অন্যান্য ছুটির দিনগুলোতেও যেন মানুষকে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য আমরা কাজ করছি।”

এ সময় তিনি জনসাধারণকে নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে নিয়ম মেনে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করার অনুরোধ করেন।

পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মো. হারুন-অর-রশীদ, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মো. মনিরুল হক, পরিচালক (জোন-৫) মো. হামিদুল ইসলাম, অথরাইজড অফিসার (জোন ৫/২) মো. ইলিয়াস প্রমুখ।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ন র জউক র জউক র

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর

বেসরকারি খাতের পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এই একীভূতকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।’

আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ব্যাংককর্মীদের আশ্বস্ত করেন, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।

গভর্নর বলেন, কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

এ সময় পাচার করা সম্পদ উদ্ধার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।’

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে, আদালত কিংবা এডিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।

গভর্নর আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কিছু ব্যাংক একীভূত হবে, কর্মীদের আতঙ্কের কিছু নেই: গভর্নর
  • পাচার অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে সরকার: গভর্নর
  • নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর