শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে জবি উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ছাত্র অধিকার পরিষদ
Published: 15th, April 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
মঙ্গলবার (১৫ই এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনটির জবি শাখা এ তথ্য জানায়।
এর আগে, গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জবি শাখা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপিতে ১০ এপ্রিলের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ বিষয়ে কাজের অগ্রগতি জানানোর অনুরোধ করা হয়।
কিন্তু ১০ এপ্রিল অতিবাহিত হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) উপাচার্যের সঙ্গে আবারো সাক্ষাৎ করবে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
১০ এপ্রিল স্মারকলিপি উল্লেখিত দাবিগুলোর হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন, দ্বিতীয় সমাবর্তন আয়োজন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী হলের অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ এবং শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিতকরণ।
ঢাকা/হাসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত
ভোলায় গ্যাস ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান ছয় দফা আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’। সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও আমরা ভোলাবাসীর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন ও আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশাররফ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দাবি আদায়ে অগ্রগতি হয়েছে।
আমরা ভোলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিদ্যমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করা, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও নদীভাঙন প্রতিরোধ।
সংগঠনটি জানায়, আন্দোলনের আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র আট চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন মেডিকেল কলেজ হলে, সেটি ভোলায় হবে। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সার কারখানা ও ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। গ্যাস–সংযোগের বিষয়ে জানানো হয়, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট জমা দেওয়া ২ হাজার ১৪৫ গ্রাহককে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে এবং ন্যায্যমূল্যে ২০ হাজার সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।