প্রসবোত্তর যত্ন ও পরিবার পরিকল্পনায় প্রথমবার মা-বাবা হতে যাওয়া দম্পতিদের সচেতন করতে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের ‘সংযোগ’ প্রকল্প। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান।

২০১৯ সাল থেকে নোয়াখালী ও মাদারীপুর জেলার আটটি উপজেলায় পরিচালিত এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়ানো, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ কমানো এবং প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নসহ নানা কার্যক্রম চালানো হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নতুন মা-বাবাদের জন্য প্রি-ডিসচার্জ কাউন্সেলিং চেকলিস্ট, প্রথমবারের মায়েদের জন্য আমন্ত্রণপত্র, মাঠ পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, এবং ‘জিরো হোম ডেলিভারি’ ক্যাম্পেইনের মতো কার্যকর পদক্ষেপ প্রকল্পটিকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে।

প্রধান অতিথি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.

আশরাফী আহমদ বলেন, “সংযোগ প্রকল্পের উদ্ভাবনী পদক্ষেপগুলোকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। কম বয়সে মাতৃত্বের ঝুঁকি কমাতে মাঠকর্মীদের আরও সক্রিয় হতে হবে।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি ইউনিটের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। সংযোগ আমাদের সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পথ দেখিয়েছে।”

সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বলেন, “সংযোগ প্রকল্প মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যে বাস্তব পরিবর্তন এনেছে। ছোট ছোট পদক্ষেপের বড় প্রভাব আমরা দেখেছি।”

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তনের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং অংশীদার সংগঠন রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) প্রতিনিধি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্পটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং সহায়তায় ছিল সেভ দ্য চিলড্রেন ও রিক।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বক্সিং রিংয়ে চ্যাম্পিয়ন জিনাতই, বোনকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে আফঈদা
  • দেশে প্রথমবারের মতো ২৫টি ‘বেশি বিপদজনক’ বালাইনাশক চিহ্নিত
  • হামাসকে অস্ত্রত্যাগে ও গাজার শাসন ছাড়তে সৌদি, কাতার, মিসরের আহ্বান
  • প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ট্রাম্পের দাবিকে অস্বীকার করলেন মোদি
  • প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের বিনামূল্যে সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ