‘সংযোগ’ বদলে দিয়েছে মাতৃত্বের প্রথম অভিজ্ঞতা
Published: 16th, April 2025 GMT
প্রসবোত্তর যত্ন ও পরিবার পরিকল্পনায় প্রথমবার মা-বাবা হতে যাওয়া দম্পতিদের সচেতন করতে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের ‘সংযোগ’ প্রকল্প। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান।
২০১৯ সাল থেকে নোয়াখালী ও মাদারীপুর জেলার আটটি উপজেলায় পরিচালিত এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়ানো, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ কমানো এবং প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নসহ নানা কার্যক্রম চালানো হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নতুন মা-বাবাদের জন্য প্রি-ডিসচার্জ কাউন্সেলিং চেকলিস্ট, প্রথমবারের মায়েদের জন্য আমন্ত্রণপত্র, মাঠ পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, এবং ‘জিরো হোম ডেলিভারি’ ক্যাম্পেইনের মতো কার্যকর পদক্ষেপ প্রকল্পটিকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে।
প্রধান অতিথি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.
অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারি ইউনিটের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। সংযোগ আমাদের সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পথ দেখিয়েছে।”
সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত বলেন, “সংযোগ প্রকল্প মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যে বাস্তব পরিবর্তন এনেছে। ছোট ছোট পদক্ষেপের বড় প্রভাব আমরা দেখেছি।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তনের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং অংশীদার সংগঠন রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) প্রতিনিধি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এবং সহায়তায় ছিল সেভ দ্য চিলড্রেন ও রিক।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল