বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিযম ও অসঙ্গতির অভিযোগে এনে বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

মামলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহসহ প্রতিদ্বন্দ্বী ছয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা শহিদুল ইসলাম কবির ফেসবুক পোস্টে এ খবর জানানোর পর নগরজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম কবির জানান, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে মামলা করেছেন। মামলার মাধ্যমে তিনি ২০২৩ সালের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সঠিক বিচার দাবি করেন। মামলায় মুফতি ফয়জুল করীম অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, জাল ভোট, প্রশাসনিক পক্ষপাত এবং ভোটারদের হয়রানি করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আদালত সঠিক বিচার করবে এবং জনতার প্রকৃত রায় প্রতিফলিত হবে। 

আরো পড়ুন:

‘ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য ডিএনসিসির ঈদ আনন্দ উৎসব’

প্যারিসে হেলদি সিটি সামিটে ডিএনসিসি প্রশাসক

শহিদুল ইসলাম কবির আরো বলেন, মুফতি ফয়জুল করীম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ন্যায়বিচারের মাধ্যমে তিনি বরিশালের মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পাবেন। 

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ‘‘বর্তমানে সরকারি প্রশাসন দিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত হচ্ছে। এতে নগরবাসী নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা চাই, ২০২৩ সালের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে আদালত জনগণের প্রতিনিধি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন।’’

মামলার আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আদালত আমাদের আর্জি শুনেছেন। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম জয়ী হলেও তাকে পরাজিত ঘোষণা করে শেখ হাসিনা সরকার । ভোট কেন্দ্রে তার উপর হামলা হয়েছে। এ সব বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল কর্ণপাত করেননি। তখন আইনি ব্যবস্থা এমন ছিল, আমরা চাইলেও কোথাও প্রতিকার পাইনি। ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা আশা করি, আদালতের সুবিচার আমরা পাব।’’

ঢাকা/পলাশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল স ট কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ