জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বিভাগে ভর্তির ব্যবহারিক পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি
Published: 18th, April 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে সংগীত, নাট্যকলা ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষার ‘ফি’ জমা দেওয়ার তারিখ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই তিন বিভাগে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আগামী ২০ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষার ‘ফি’ অনলাইনে জমা দিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত পৃথক দুইটি বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানানো হয়েছে।
‘বি’ ইউনিটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.
‘ডি’ ইউনিটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সানজিদা ফারহানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ডি-ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের ২০ থেকে ২৫ এপ্রিল রাত ১২টার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে লগইন করে ফি জমা দিতে হবে। ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইট www.admission.jnu.ac.bd। এই বিভাগের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি ৪০০ টাকা।
২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ‘বি’ ইউনিটের তিনটি পালায় মোট আসনসংখ্যা ৭৮৫টি। প্রথম পালায় মোট আসন ২৯৪টি। এতে মানবিকে ১৯৯, বাণিজ্যে ৩৫ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬০টি আসন। দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯২টি। এর মধ্যে মানবিকে ১৯৯, বিজ্ঞানে ৫৮ এবং বাণিজ্য বিভাগের জন্য ৩৫টি আসন। তৃতীয় পালায় মোট আসন ১৯৯টি। এতে মানবিকে ১৩৬, বিজ্ঞানে ৩৯ এবং বাণিজ্য বিভাগের জন্য ২৪টি আসন।
‘ডি’ ইউনিটের দুইটি পালায় মোট আসনসংখ্যা ৫৯০টি। প্রথম পালায় মোট আসন ২৯৪টি। এর মধ্যে মানবিকে ১৯২, বাণিজ্যে ৩৩ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৯টি আসন। দ্বিতীয় পালায় মোট আসন ২৯৬টি। এর মধ্যে মানবিকে ১৯৩, বাণিজ্যে ৩২ এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য থাকবে ৭১ আসন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র ক পর ক ষ য় প ল য় ম ট আসন ব ভ গ র জন য ইউন ট র বর ষ র র ভর ত প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থনীতির আকারে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দশম
এশিয়ার মধ্যে দশম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এখন বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের ভিত্তিতে এশিয়ায় বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে ৯টি দেশ। এশিয়ায় শীর্ষস্থানে আছে চীন। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এশিয়ায় জিডিপির আকারে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে চীন, ভারত, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইপে, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ‘বেসিক স্ট্যাটিসটিকস ২০২৫’ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে এডিবি। এতে মোট ৪৬টি দেশের জিডিপির আকারের হিসাব রয়েছে। অবশ্য এ তালিকায় জাপান নেই। জাপানের তথ্য বিবেচনায় নিলে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়ায় ১১তম।
এডিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, সাময়িক হিসাবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৪৫০ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৪৫ হাজার ৫০ কোটি ডলার। জিডিপির আকারের ভিত্তিতে এশিয়ায় সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীন। চীনের জিডিপির আকার প্রায় ১৮,৯৫৭ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটির জিডিপির আকার ৩,৯১১ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় স্থানে আছে কোরিয়া। গত বছর কোরিয়ার জিডিপি ছিল ১,৮৬৯ বিলিয়ন ডলারের।
চতুর্থ স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার জিডিপি ১,৩৯৬ বিলিয়ন ডলারের। পঞ্চম স্থানে থাকা তাইপের জিডিপি প্রায় ৭৯৬ বিলিয়ন ডলারের। ৫৪৭ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি জিডিপির আকার নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে সিঙ্গাপুর। এ ছাড়া বাংলাদেশের ওপরে থাকা অন্য দেশগুলোর জিডিপির আকার থাইল্যান্ড ৫৪০ বিলিয়ন ডলার, ভিয়েতনাম ৪৭৬ বিলিয়ন ডলার ও ফিলিপাইনের ৪৬১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত বছর সাময়িক হিসাবে জাপানের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪,০১০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাব বিবেচনায় নিলে জিডিপির আকারের ভিত্তিতে এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান।