চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দুনিয়ায় পা রাখতে যাচ্ছে। এ জন্য গোপনে নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরির কাজও শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওপেনএআইয়ের নতুন প্ল্যাটফর্মটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় সম্ভাব্য নাম বা পূর্ণাঙ্গ কাজের ধরন সম্পর্কে জানা যায়নি বলে জানিয়েছে সিএনবিসি ও দ্য ভার্জ।

সিএনবিসি ও দ্য ভার্জের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চ্যাটজিপিটির ইমেজ জেনারেশনে ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরি করছে ওপেনএআই। পরীক্ষামূলকভাবে প্ল্যাটফর্মটিতে একটি সোশ্যাল ফিড যুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের ছবি সহজেই শেয়ার করতে পারবেন।

বাজারবিশ্লেষকদের ধারণা, সম্প্রতি নিজেদের তৈরি নতুন ইমেজ জেনারেশন সুবিধা জনপ্রিয়তা পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরি করতে আগ্রহী হয়েছে ওপেনএআই। গত মাসে চালু হওয়া নতুন এই সুবিধার মাধ্যমে দ্রুত সাধারণ ছবি বা সেলফিকে স্টুডিও গিবলি অ্যানিমেশনে রূপান্তর করা যায়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে এসব রূপান্তরিত ছবি ভাইরাল হয়েছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, চ্যাটজিপিটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তার দাবি, বিশ্বে প্রতি ১০ জনের ১ জন ওপেনএআইয়ের এআই সেবা ব্যবহার করছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি তিনি।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ