সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতা আজাদ হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 

শুক্রবার দুপুরে থানার প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আজাদ হোসেন উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

উল্লাপাড়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নিক্সন কুমার আমিন বলেন, বিএনপি নেতা আজাদ উল্লাপাড়া মোটর মালিক সমিতির অফিসে নিয়মিত উঠা-বসা করেন। শিবিরের নেতাকর্মীরা এ বছর সিএনজি স্ট্যান্ডের ইজারা পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা ইজারা তুলতে এসে মোটর মালিক সমিতির অফিসের কক্ষ থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলতে বলেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। 

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার উপজেলা মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে আজাদ থানার গেটের সামনে যান। সেখানে বৃহস্পতিবারের ঘটনার জেরে আজাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন জামায়াত-শিবিরের তিন-চারজন নেতাকর্মী। তারা হাতুড়ি ও রড দিয়ে আজাদকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম পিনু বলেন, জামায়াতের ইসলামীর পক্ষ থেকে উল্লাপাড়া সিএনজি স্ট্যান্ড বাংলা নতুন বছরের ইজারা নেওয়া হয়েছে। জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা ইজারার টাকা তুলতে গেলে আজাদের সমর্থকরা বৃহস্পতিবার বিকেলে ও শুক্রবার সকালে তাদের দুই দফা মারধর করে। এরই জেরেই আজাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।  

উল্লাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিয়ামুল হক বলেন, বিএনপি নেতা আজাদকে মারধরের পর উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা। আহত আজাদকে বগুড়ায় নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ন ত কর ম র র ন ত কর ম উল ল প ড় উপজ ল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ