বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়: জামায়াত আমির
Published: 19th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. সফিকুর রহমান বলেছেন, “জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহতদের বিচার ও সংস্কারের আগে কোনভাবেই নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। আগে ফ্যাসিস্টের বিচার ও সংস্কার করতে হবে। তারপর নির্বাচন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে জলঢাকা স্টেডিয়াম মাঠে জামায়াতে ইসলামীর জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশ প্রমিক ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের হত্যা মিশন শুরু করে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার বিচার, শাপলা চত্বরে আলেমদের হত্যা বিচারসহ সকল হত্যার বিচার করবে।”
জামায়াত আমির বলেন, “অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের দেশের উন্নয়নে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কারো চাপিয়ে দেওয়া সিন্ধান্ত আমরা মেনে নেব না।”
জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমীর মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিমসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় জামায়াত ও শিবিরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/ইয়াছিন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”
তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী