জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রীদের ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ এর ফি কমানোসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে চার দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত উপাচার্য দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা। এর আগে, হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর চার দফা দাবি বাস্তবায়নে একটি স্মারকলিপি দেয় তারা।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘আমার বোন মিছিল করে, প্রশাসন কি করে’, ‘আমার বোন কষ্ট করে, প্রশাসন কি করে’, ‘হলের মেয়েরা কষ্ট করে, প্রশাসন কি করে’, ‘প্রশাসন প্রশাসন, লজ্জা লজ্জা’, ‘ভিসি স্যার কই গেলো, লজ্জা লজ্জা’, ‘হল ফি কমাতে হবে, কমাতে হবে কমাতে হবে’, ‘আমাদের দাবি, আমাদের দাবি, মানতে হবে, মানতে হবে’সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন।

‎হলের শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ তিন বছর হয়েছে হলের ওয়াইফাই সমস্যা, খাবারের সমস্যা, মেডিকেল সেন্টার নেই। অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যেখানে নামমাত্র ফি নেওয়া হয়, সেখানে আমাদের কম সুবিধা দিয়েও বেশি ফি আদায় করা হয়। আমরা এসব কিছুর অবসান চাই।

তারা আরও বলেন, হল প্রধ্যক্ষকে বললে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। সবকিছু আইসিটি সেলের পরিচালক ও প্রশাসন জানে।’ ১৫ দিনে ওয়াইফাই সমস্যা সমাধান করবে বলে আজ দুই-তিন বছর শেষ হয়ে গেছে। এরপরো তাদের কোনো খবর নেই।  

‎চার দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- হলের ফি ৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে অর্ধেক করতে হবে; হলে খাবারের মান বৃদ্ধি ও আলাদা ডাইনিং চালু করতে হবে; মেডিকেল সেন্টার চালু করে ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে; দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করতে হবে।  

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

আঞ্জুমান আরা বলেন, “মেয়েদের দাবি মেনে নিয়ে প্রশাসন ফি ২ হাজার টাকা করেছে। তাদের মূখ্য দাবি পূরণ হওয়ার কারণে তারা হলে ফিরে গেছে।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি পাকিস্তানের, জানা গেল না শুল্কের পরিমাণ

যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান একটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। চুক্তিটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কমাতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার রাতে এ চুক্তি চূড়ান্ত হয়। তবে পাকিস্তানি পণ্যে নতুন করে কী পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

শুল্ক নিয়ে সমঝোতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করতে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বর্তমানে ওয়াশিংটনে রয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তানের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ওয়াশিংটনে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস বৃহস্পতিবার সকালে এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেছে, ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতির অংশ হিসেবে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র আজ একটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করা, পণ্য রপ্তানি বাড়ানো, বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা।’

বৃহস্পতিবার সকালে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ চুক্তির ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি লিখেন, ‘আমরা মাত্রই পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছি। এই চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে তাদের বিশাল তেলসম্পদ উন্নয়নে কাজ করবে।’

আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা ট্রাম্পের, শুল্ক কমে ১৫ শতাংশ১৩ ঘণ্টা আগে

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এই অংশীদারত্বে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমরা তেল কোম্পানি বাছাইয়ের কাজ করছি। কে জানে, হয়তো একদিন তারা ভারতেও তেল রপ্তানি করবে!’

তবে কী পরিমাণ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, কোনো পক্ষই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। পাকিস্তান দূতাবাস জানিয়েছে, এই চুক্তির ফলে পাল্টা শুল্ক কমবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পাকিস্তানি পণ্যের ওপর। এ চুক্তি অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি নতুন যুগের সূচনা করছে বিশেষ করে জ্বালানি, খনিজ ও খনিজ সম্পদ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং অন্যান্য খাতে।

উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১ আগস্ট থেকে এটি কার্যকর হচ্ছে।

আরও পড়ুনভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য আলাদা ‘দণ্ড’৩০ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ