ঘটনাটা ঘটে গতকাল আইপিএলে। গুজরাট টাইটানস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচের আগে। টসের সময় ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সঙ্গে কথা বলছিলেন গুজরাটের অধিনায়ক শুবমন গিল। মরিসনের উপস্থাপনা তো সব সময়ই অননুমেয়। কখনো কখনো মজার ছলে এমন প্রশ্ন করে বসেন, বিব্রত হতে হয় তাঁর সামনে থাকা মানুষটাকে।

ভরা ইডেন গার্ডেনে মাইক হাতে শুরুতে বাংলায় কলকাতা, ‘কেমন আছ’  বলে শুরু করা মরিসন টসের পর প্রথম কথা বলেন কলকাতার অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে। এরপর গুজরাট অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মরিসন হঠাৎই বলে বসেন, ‘তোমাকে দেখে বেশ হাসিখুশি মনে হচ্ছে। কী ব্যাপার? বিয়ের ফুল ফুটছে নাকি? সামনেই কি বিয়ে?’
হঠাৎ এমন প্রশ্নে কিছুটা বিব্রত হয়ে পড়েন গিল। চোখমুখ লাল হয়ে যায় তাঁর। তারপর হাসতে হাসতে বলেন, ‘না, সে রকম কিছু না।’

আরও পড়ুন‘দু–একবার চেষ্টা করেছি বউকে তুমি করে বলার, কিন্তু তাতে সম্পর্কটা দূরের মনে হয়’৪ ঘণ্টা আগে

গিলের সঙ্গে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের কন্যা সারা টেন্ডুলকারের সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা দীর্ঘদিনের। গুঞ্জন ছিল, দুজন চুটিয়ে প্রেম করছেন। আবার কিছুদিন আগে শোনা গেছে, দুজনের মধ্যে নাকি সব চুকেবুকে গেছে। ইনস্টাগ্রামে নাকি গিল-সারা একজন অন্যজনকে ‘আনফলো’ করে দিয়েছেন।

ড্যানি মরিসনের সঙ্গে শুবমন গিল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।

‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।

এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ