Samakal:
2025-06-16@05:20:23 GMT

প্রাচীন তাম্রলিপি

Published: 24th, April 2025 GMT

প্রাচীন তাম্রলিপি

কোন এক প্রাক-বসন্তে এভাবেই কয়েকটা
পরিণামহীন আর কোলাহলবর্জিত লোকালয় পেরিয়ে
আমরা দু’জনে হাত ধরাধরি করে 
এক প্রহেলিকাপূর্ণ সূর্যাস্তের বুলন্দ দরওয়াজার 
পাদদেশে এসে দাঁড়িয়েছিলাম। 

তোমার সবুজ মায়াবী জুতোর গায়ে
সুগন্ধি পাথর খোদাই করা–
বসরাই এবং সুবর্ণগ্রামের বাণিজ্যপথের উপঢৌকন;
তোমার হাতের আঙুলে জড়ানো মসলিন
ক্রমশ প্রসারিত হয়েছিল এক সুডৌল, প্রেতযৌবনা শঙ্খে।
শিহরনে সমর্পিত হয়েছিলাম, হয়তো তুমিও;
রক্তে-ঘামে লেখা হয়েছিল বুঝি আমাদের যৌথ ললিতকাব্য।

অবশেষে, আমারই ইশারায় আর তোমার বিলম্বিত সম্মতিতে
এক জটিল পথ পরিক্রমার পরিকল্পনা করেছিলাম যখন
তোমার নিজস্ব বিশ্বাসকে তুমি ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছিলে।
তোমার সেই স্খলনকে এক অতিপ্রাকৃত, প্রেত-তাড়িত প্রেম 
বলে শনাক্ত করতে পেরেছিলাম। 
মসলিন-আবৃত, প্রসারিত বাহু তোমার কোমল নখরে
আমাকে রক্তাক্ত করার সম্মতিও দিয়েছিলাম।
সে এক আশ্চর্য চৈত্রের দহনের স্মৃতি। 

অতঃপর, 
আলোকস্পৃষ্ট পতঙ্গ আমরা
চক্রাকার কাল-সমুদ্রে
পাক খেতে খেতে 
বাঁক ঘুরে ঘুরে
মন্দ্রসপ্তকে সঞ্চারমান এক মোহন কামারশালার
সামনে এসে পৌঁছেছিলাম।
যেন ঋষ্যশৃঙ্গের গুল্ম-গ্রন্থিল আশ্রমের প্রবেশমুখে
প্রার্থনারত নিঃসন্তান দম্পতি।
হাতুড়ি-ছেনির দ্বৈরথ মিথুন আমাদের দু’জনকেই প্রত্যক্ষ করতে হলো;
অবশেষে, প্রাচীন এক তাম্রলিপিতে শিহরিত হলো আমাদের নাম;
এভাবেই আমরা বিস্মরণীর নখর হতে মুক্ত হতে চেয়েছিলাম।

শুধু আমি জানি 
সেই রাতে তুমি তোমার নিজস্ব ঈশ্বরকে ক্ষমা করে দিয়েছিলে।

তারপর ফিরে আসা
ফিরে যাওয়া 
ফিরে দেখা
ফিরে চাওয়া
ঘুরে ঘুরে সেই 
বক্রিম চঞ্চল পথ 
স্পর্শালোকিত তোমার।

আজও শুনি সেই শঙ্খের হ্রেষা রব
পুরোনো পৃথিবীর পথ চিনে নেবার,
যদিও ফাটল ধরেছে তার
বাহু, কবন্ধ, হাড়
বৃথা আক্রোশে কেবল অনুতপ্ত হাওয়ায়,
বাতাসে নিঃশ্বাস ফেলে।
অথচ চেয়ে দেখো–
এই তো যেন স্পর্শ করছি
তোমার খয়েরি চোখ, চৌচির বল্লভ
তোমার সমুদ্র শ্লোক, মন্থর বিজ্ঞান
তোমার প্রাচীন প্রস্তর জ্ঞান, 
লুপ্ত সভ্যতায় বিস্মৃত দেবতার হাহাকার। 

এসবই আজ 
আমাদের যূথস্মৃতিতে অস্তিত্বমান
কেবল পিছু ফিরে তাকাবার পাপে
অদৃশ্য সেই দরওয়াজা– জানি আর কখনও খুলবে না। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হয় ছ ল আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।

এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।

প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”

আরো পড়ুন:

জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!

অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?

ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”

‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”

গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ