রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের দাবি এবং সম্প্রতি বনানীর ১১ নম্বর সড়কে মোটরসাইকেলচালকদের ওপর রিকশাচালকদের হামলার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মোটরসাইকেলচালকেরা।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মোটরসাইকেলচালকদের প্ল্যাটফর্ম ‘মটো ক্লাব ৯৮’–এর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল একেবারে বন্ধ করা, শুধু প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের এই রিকশা চালানোর অনুমতি দেওয়া এবং উল্টো পথে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবি জানান মোটরসাইকেলচালকেরা। অন্যথায় আইন পাস করে মোটরসাইকেলের মতো এই পরিবহন ও চালকদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আয়োজক সংগঠনের সদস্য মো.

রাসেল বলেন, সড়কে অটোরিকশাগুলোর দৌরাত্ম্য বন্ধ হোক। গত সপ্তাহে বনানীতে একজন বাইকারের ওপরে অটোরিকশার চালকেরা খুব জঘন্যভাবে হামলা চালিয়েছেন। এটা খুবই অপ্রত্যাশিত।

মো. রাসেল বলেন, ‘নিশ্চয়ই বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের একটা নীতিমালা আছে, সে নীতিমালা অনুযায়ী গাড়ি চলুক। আমরা বলছি না, রিকশা বন্ধ হয়ে যাক, ওদেরও রুটি–রুজির বিষয় আছে এখানে। আমরা চাই, সেটি রক্ষিত হোক, কিন্তু একটি নীতিমালা মেনে চলুক।’

আয়োজক সংগঠনের আরেক সদস্য মুশফিকুর রহিম বলেন, বর্তমানে সড়কে বাইকারদের কাছে ব্যাটারিচালিত রিকশা একটি আতঙ্কের নাম। ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা যেখানে–সেখানে ইচ্ছেমতো রিকশা চালাচ্ছেন। প্রশাসনের কাছে আবেদন, ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে তারা একটা সিদ্ধান্ত নিক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ লকদ র চ লক র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের যুদ্ধক্ষমতা সীমিত করতে চান মার্কিন সিনেটর

এক মার্কিন ডেমোক্র্যাট সিনেটর আজ সোমবার একটি আইন প্রস্তাব করেছেন, যাতে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে না পারেন। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

ভার্জিনিয়ার সিনেটর টিম কেইন দীর্ঘদিন ধরেই হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা আবার কংগ্রেসের হাতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে আসছেন।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, ২০২০ সালে, সিনেটর কেইন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনায় ট্রাম্পের ক্ষমতা সীমিত করার জন্য একই ধরনের একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। সেই প্রস্তাব সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ—উভয় কক্ষেই পাস হয় এবং কিছু রিপাবলিকান সদস্যের সমর্থনও পেয়েছিল।

তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভেটো ঠেকানোর মতো প্রয়োজনীয় ভোট পাওয়া যায়নি বলে সেটি কার্যকর হয়নি।

আরও পড়ুনআরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন১৯ ঘণ্টা আগে

কেইন বলেছেন, তাঁর সর্বশেষ যুদ্ধক্ষমতাসম্পর্কিত প্রস্তাবটি এ বিষয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরে যে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যুদ্ধ ঘোষণা করার একমাত্র ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, প্রেসিডেন্টের হাতে নয়। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অবশ্যই যুদ্ধ ঘোষণা বা সামরিক শক্তি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট অনুমোদন থাকতে হবে।

এক বিবৃতিতে সিনেটর কেইন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করা উপযুক্ত নয়, যদি না সেই যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য একেবারেই অপরিহার্য হয়ে ওঠে। আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রকে আরেকটি অনন্তকাল চলা সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে।’

মার্কিন আইনে যুদ্ধক্ষমতাসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো ‘প্রিভিলেজড’ হিসেবে বিবেচিত হয়, অর্থাৎ সিনেট বাধ্য থাকবে বিষয়টি দ্রুত আলোচনায় আনতে এবং ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে।

গত শুক্রবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ইরানে হামলা চালায়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ধ্বংস করে দেওয়া। অপর দিকে, ইরান, যাদের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, তারা ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে এর জবাব দেয়।

উভয় দেশই তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। ফলে বেসামরিক নাগরিকেরা নিহত ও আহত হচ্ছেন। এতে কানাডায় চলমান বিশ্বনেতাদের বৈঠকে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে যে এই দুই পুরোনো শত্রুর মধ্যে চলমান সবচেয়ে বড় লড়াই বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।

ট্রাম্প একদিকে ইসরায়েলের হামলাকে প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে ইরানের সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলায় অংশ নিয়েছে। তবে তিনি তেহরানকে সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধের পরিধি বাড়ানো উচিত হবে না।

গতকাল রোববার কানাডায় সম্মেলনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি পরিস্থিতি শান্ত করতে কী করছেন? তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করি একটা সমঝোতা হবে। আমার মনে হয় এখন সমঝোতার সময় এসেছে। তবে কখনো কখনো ওদের নিজের মধ্যে লড়ে নিতে হয়।’

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে ‘নো কিংস’ ব্যানারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ