‘চার্মিং’ থাকার উপায় জানালেন জয়া আহসান
Published: 26th, April 2025 GMT
‘চার্মিং’ মনোমুগ্ধকর বা আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বকে শিল্পের সঙ্গে তুলনা করা হয়। কেউ কেউ একটি ঘরে প্রবেশের সাথে সাথেই অন্যদের মুগ্ধ করেন, আবার কেউ কেউ সময়ের সাথে সাথে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে নেন। যদিও প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক আকর্ষণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তারপরেও ব্যক্তিজীবনে কিছু কিছু অভ্যাস অনুশীলনের মাধ্যমে ‘আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব’ অর্জন করা যায়।
সেক্ষেত্রে দুইটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি, মনোভাব এবং শারীরিক ভাষা। বাংলাদেশের অন্যতম ‘চার্মিং’ বা আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব বিবেচনা করা হয় গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসানকে।
জয়া আহসান এক সাক্ষাৎকারে তার ‘চার্মিং’ থাকার তিনটি কারণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘যেকোন মানুষ হাসিখুশি থাকলে তাকে ‘চার্মিং’ দেখায়। আমি হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করি এবং পজেটিভ থিংকিং করি; এইটুকুই। আর অবশ্যই একটি লাইফস্টাইল মেনে চলি। আমি বলবো যে, একজন মানুষের লাইফস্টাইল, এবং পজেটিভ থিংকিং তাকে ‘চার্মিং’ করে তুলতে পারে।’’
আরো পড়ুন:
ঠান্ডা একটা গান গাওয়ার ইচ্ছা ছিল জেফারের
বর্তমান নাকি ভবিষ্যৎকে বেশি গুরুত্ব দেবেন?
‘চার্মিং’ ধারণাটি শুধুমাত্র চেহারা বা সৌন্দর্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আপনি একজন মানুষের সঙ্গে কীভাবে কথা বলছেন, সেই ধরণও বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন।
উইকিহাউ এর প্রতিবেদন ‘চার্মিং’ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন— কারও সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন। চোখে যেন হাসি থাকে, সেদিকটা আয়ত্ব করার চেষ্টা করতে হবে। যার সঙ্গে কথা বলবেন তার আগ্রহের উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে শিখুন এবং ভদ্র থাকুন। আপনি যার সাথে কথা বলছেন তার কখনই মনে করা উচিত নয় যে আপনি কথোপকথনটি ছোট করার চেষ্টা করছেন। মানুষের নাম মনে রাখার চেষ্টা করুন। মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার মিশেলে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।