তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
Published: 1st, November 2025 GMT
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। শনিবার (১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ঘোষিত চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, বুধবারের নির্বাচনে তিনি ৯৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। খবর বিবিসির।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে স্বচ্ছতার অভাব এবং ব্যাপক অস্থিরতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন ঘিরে দেশটিতে গত কয়েক দিনে সহিংসতায় কয়েক শ’ মানুষ নিহত ও বহু আহত হয়েছে। দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নিহতের সঠিক সংখ্যা যাচাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকার সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অস্থিরতা দমনে দেশজুড়ে কারফিউও বাড়ানো হয়েছে।
ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) দলের প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভোটের আগে ভিন্নমত পোষণকারী ও বিরোধীদের ওপর কঠোর দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। প্রধান দুই বিরোধী দলকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।
ফলে নির্বাচনের পরই বৃহত্তম নগরী দার-এস-সালাম ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবারও বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। অস্থিরতা বন্ধ করার জন্য সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা সামিয়ার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং অসংখ্য গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন এবং থানায় আগুন দেয়।
বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশিরভাগ তরুণ বিক্ষোভকারীরা, যারা নির্বাচনকে অন্যায্য বলে সমালোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার প্রধান বিরোধী নেতাদের দমন করে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করছে। প্রধান দুই বিরোধী নেতার মধ্যে একজন কারাগারে রয়েছেন এবং অন্যজনকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিরোধী চাদেমা দলের একজন মুখপাত্র শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তানজানিয়ার একটি কূটনৈতিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫০০ জন মারা যাওয়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কম্বো থাবিত এই সহিংসতাকে ‘এখানে-সেখানে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা বাহিনী খুব দ্রুত ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করেছে।”
প্রধান দুই বিরোধী দলীয় নেতার মধ্যে চাদেমা দলের টুন্ডু লিসুকে নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রদোহের অভিযোগ আটক করা হয়, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এসিটি-ওয়াজালেনডো দলের নেতা লুহাগা এমপিনাকে আইনি কৌশল খাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
১৬টি প্রান্তিক দল, যাদের কারোরই ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন ছিল না, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সামিয়ার ক্ষমতাসীন দল সিসিএম, দেশটির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে কখনও কোনো নির্বাচনে সিসিএম হারেনি।
নির্বাচনের আগে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিরোধী ব্যক্তিত্বদের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের নিন্দা জানিয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর ২০২১ সালে তানজানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামিয়া ক্ষমতায় আসেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এই তিন কন্যার একজন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা, স্বামীও নায়ক
ছবির সেই ছোট্ট মেয়ে, যাঁর চোখে একদিন স্বপ্ন দেখার আগ্রহ ছিল, বড় হয়ে ঢালিউড মাতিয়েছেন। হয়েছেন আলোচিত নায়িকা, যাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে ভক্তরা চোখ রাখতেন। ১৯৯১ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’ ছবিতে তাঁর অভিষেক। সেই সময়েই তিনি রীতিমতো সাড়া ফেলেছিলেন। তবে আজ আর চলচ্চিত্রের পর্দায় নেই তিনি। স্বামী, সন্তান আর সংসারেই ব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছেন ঢাকার উত্তরায়। নাটক ও চলচ্চিত্র—দুটি মাধ্যমেই একসময় মাতিয়েছিলেন। এখন অবশ্য আড়ালে থাকেন, মাঝেমধ্যে হঠাৎ দেখা মেলে চলচ্চিত্র বা নাটকসংশ্লিষ্ট কিছু ঘরোয়া আয়োজনে।
গতকাল বুধবার ছিল এই নায়িকার জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে অভিনয়শিল্পী ছোট বোন তাঁর ছোটবেলার কিছু স্থিরচিত্র শেয়ার করেছেন। ছবি দুটি দেখেই অনেকে চমকে গেছেন। শুরুতে কেউই চিনতে পারেননি। কেউ বলছেন, হাসির কারণে চিনেছেন। কেউ আবার ফেসবুকে ট্যাগ করায় সহজে বুঝতে পেরেছেন—না হলে হয়তো এত সহজে চেনা যেত না।
ছোটবেলার ছবির এই মেয়ে আর কেউ নন, ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনাজ। চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ওই সময়ের অন্য একজন জনপ্রিয় নায়ক নাঈমের। ধীরে ধীরে প্রেমে গড়া বন্ধন একদিন বিবাহে রূপ নেয়। আজ ২৯ অক্টোবর, সেই তারকার জন্মদিন—যে জন্মদিনে অতীতের শিশুসুলভ হাসি আর আজকের পরিণত নায়িকার গল্প একসঙ্গে মিলেছে।
ছবির এই ছোট্ট মেয়ে ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা