ফেনীর পরশুরাম উপজেলার সীমান্তবর্তী মুহুরী নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮ লাখ ঘনফুট অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। জব্দ করা বালুর আনুুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নদীর দুই পাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ফেনী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত টাস্কফোর্স অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক। অভিযানে বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংশ নেন।

আরো পড়ুন:

ট্রেনে বিজিবির অভিযান, কোটি টাকার হেরোইন জব্দ

সোনারগাঁও ফরেস্ট স্টেশনে ২০০ ঘনফুট রদ্দা কাঠ জব্দ

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক বলেন, “জেলা প্রশাসনের নির্দেশে মুহুরী নদী এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে অন্তত ৮৯টি বালুর স্তুপ থেকে আনুমানিক ৮ লাখ ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়।”

তিনি আরো বলেন, “এ বছর মুহুরী নদীর কোনো অংশ ইজারা দেওয়া হয়নি। কতিপয় অসাধু ব্যক্তি অনুমতি ছাড়া বালু উত্তোলন করছিলেন। যে কারণে নদীর পাড়ের জনবসতি হুমকির মুখে পড়েছে।”

ফাহমিদা হক বলেন, “নদী এলাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত, বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা বালু সরকারি হেফাজতে রাখা হয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”

ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, “সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এ ধরনের তৎপরতা নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ