ঢাবিতে পরীক্ষা ছাড়াই শূন্যপদে নিয়োগের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
Published: 27th, April 2025 GMT
একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ ঢাবি উপাচার্যের' শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। ওই সংবাদটি অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো ‘প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য' শীর্ষক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি জাতীয় দৈনিকে রবিবার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ ঢাবি উপাচার্যের’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সংবাদে পরীক্ষা ছাড়াই শূন্য পদে নিয়োগের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর।
আরো পড়ুন:
‘শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার’
ঢাবি প্রশাসনকে রাজনীতির বাইরে রাখতে চান উপাচার্য
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ২০২৪ সালের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর উপাচার্যসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন আনা হয়। সে সময় উপাচার্য দফতরসহ বিভিন্ন দফতর থেকে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহায়তাকারী ও পূর্বের প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জোর দাবি উঠে। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহায়তাকারী এবং পূর্বের প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপাচার্য দফতর থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
পরবর্তীতে লোকবল সংকট, দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ততা ও কাজের দক্ষতা বিবেচনা করে উপাচার্যের বিভাগের কর্মচারী ফিরোজ শাহকে উপাচার্য দফতরে বদলি করা হয়েছে এবং তাকে প্রটোকলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ১৯৭৩ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপাচার্য যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যেকোনো সময় যেকোনো বিভাগ/দপ্তর/ইনস্টিটিউটে বদলি/প্লেসমেন্ট দিতে পারেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ক্ষমতাবলে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই ফিরোজ শাহকে উপাচার্য দফতরে বদলি করা হয়েছে। এটি কোন নতুন নিয়োগ বা পদোন্নতি নয়। একই বেতন স্কেলভুক্ত এক পদ থেকে অন্য পদে স্থানান্তর মাত্র। এ ধরনের অনেক পূর্ব নজির আছে। যেকোনো সময় তাকে উপাচার্য মহোদয়ের নিজ বিভাগে বা অন্যত্র পুনরায় বদলির সুযোগ রয়েছে।
সংবাদটি সত্যনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন না হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করবেন মির্জা আব্বাস
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা প্রকাশ করেন।
আরো পড়ুন:
যে আসন থেকে লড়বেন তারেক রহমান
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, ৩টি আসনে লড়বেন খালেদা জিয়া
এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
এ সময় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভ্যাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচন প্রায় ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দিনাজপুর-৩ থেকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন থেকেও লড়বেন তিনি।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ