ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ও হা-মীম গ্রুপের সমঝোতা স্মারক সই
Published: 28th, April 2025 GMT
ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ও হা-মীম গ্রুপের (টঙ্গী জোন) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রোববার ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে হা-মীম গ্রুপের কর্মী ও শ্রমিকরা ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা, ওয়েলনেস প্রোগ্রাম, মেডিকেল ক্যাম্প, ইমার্জেন্সি রেফারেল সাপোর্ট এবং অন-সাইট মেডিকেল সাপোর্ট সার্ভিস গ্রহণের সুযোগ পাবেন। উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কর্মীদের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন এবং জরুর স্বাস্থ্যসেবার দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
এছাড়াও, কর্মীদের সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মশালা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক হা-মীম গ্রুপের সিনিয়র কর্মকর্তাদের হাসপাতালের বিভিন্ন সেবাকক্ষ, চিকিৎসা সুবিধাদি ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা ঘুরিয়ে দেখান। অতিথিরা হাসপাতালের সেবা ও সুবিধা সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই সমঝোতা স্মারক হা-মীম গ্রুপের কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
অন্যদিকে হা-মীম গ্রুপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মানবসম্পদ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ইমরান আহমেদ, প্রধান পরিচালন র্কমর্কতা এএফএম আখতরুজ্জামান, মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিন, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. পারিজা আশরাফী ও জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাণিজ্য-বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে: ঢাকা চেম্বার
বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংস্থাটি বলছে, কড়াকড়ি মুদ্রানীতির প্রভাবে ঋণপ্রবাহ কমে যাওয়ায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ডিসিসিআই জানায়, ২০২৫ সালের জুনের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ৬.৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ধারা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। চেম্বার মনে করে, ব্যবসায়িক পরিবেশে অনিশ্চয়তা, আইন-শৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ, জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি এবং কঠোর মুদ্রানীতির কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ধারা আরো তীব্র হচ্ছে।
ডিসিসিআই আরো জানায়, ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হওয়ার ফলে খেলাপি ঋণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায়, যা ব্যাংকিং খাতে মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ২৭.০৯ শতাংশ। এ পরিস্থিতি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ব্যবসায়িক আস্থা হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিসূদ হার ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে-যা ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্পসহ উৎপাদনমুখী খাতগুলোর জন্য বড় চাপ তৈরি করছে বলে মনে করে ডিসিসিআই। সংস্থাটির ভাষ্য, দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ সুদের হার উৎপাদন ও বিনিয়োগ খাতে ঋণের ভার বাড়াচ্ছে, ফলে সামগ্রিক অর্থনীতির গতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে।
চলতি মুদ্রানীতিতে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৫) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আরো কমিয়ে ৭.২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে আগের ছয় মাসে তা ছিল ৯.৮ শতাংশ। বিপরীতে সরকার খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২০.৪ শতাংশ করা হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের মতে, এ ব্যবস্থায় সরকারি খাতের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বেসরকারি খাতের জন্য আর্থিক খরচ ও প্রতিযোগিতা উভয়ই বেড়ে যাবে।
এ অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে নীতিসূদ হার হ্রাস এবং ঋণ গ্রহণের শর্তাবলি সহজ করার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই। তারা সৎ ঋণগ্রহীতাদের রক্ষায় সহায়তা এবং তাৎক্ষণিক খেলাপি শ্রেণিতে পড়া এড়াতে ঋণ শ্রেণিবিন্যাসে সময়সীমা ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
সংস্থাটি মনে করে, টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাতে কাঠামোগত সংস্কার, ঋণ বরাদ্দে স্বচ্ছতা এবং বাজারে তারল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে।
চূড়ান্তভাবে ডিসিসিআই বলছে, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা, বেসরকারি খাতে আস্থা পুনরুদ্ধার ও বিনিয়োগ বাড়াতে আরো নমনীয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও খাতভিত্তিক প্রতিক্রিয়াশীল মুদ্রানীতির বিকল্প নেই।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ