পদ্মায় মাথাবিহীন লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, একজন গ্রেপ্তার
Published: 29th, April 2025 GMT
রাজবাড়ীর পদ্মা নদী থেকে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলাটি করেন সহিদ সরকার নামের এক ব্যক্তি। তিনি লাশটিকে নিজের নিখোঁজ সন্তান জিহাদ সরদারের বলে দাবি করেছেন।
এর আগে গত রোববার দুপুরের দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চর বরাট পদ্মা নদীর শাখা ক্যানাল থেকে মাথাবিহীন লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় করা মামলায় আসামি হিসেবে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন নারী। বাকি দুজন হলেন স্থানীয় বাসিন্দা হৃদয় (২৪) ও জিহাদের চাচাতো ভাই সোহাগ সরদার (২৭)। আসামিদের মধ্যে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনপদ্মায় ভাসছিল মাথাবিহীন মরদেহ, নিখোঁজ যুবকের পরিবারের আহাজারি২৭ এপ্রিল ২০২৫লাশ উদ্ধারের দুই দিন পরও মাথা উদ্ধার করা যায়নি। তবে পরনের পোশাক ও শরীরের বিভিন্ন চিহ্ন দেখে লাশটিকে নিখোঁজ জিহাদের বলে দাবি করে পরিবার। জিহাদ গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউপির কাসরন্দ গ্রামের বাসিন্দা। রাজধানী ঢাকায় একটি জাহাজ মেরামত কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি বাড়িতে আসেন। ওই রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন তিনি। পরদিন গোয়ালন্দ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁর পরিবারের লোকজন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার লাশটিকে নিখোঁজ জিহাদের বলে তাঁর পরিবার শনাক্ত করলেও পুলিশ নিশ্চিত হতে ডিএনএর নমুনা রাজধানী ঢাকায় পাঠিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মামলার আসামি ওই নারীর সঙ্গে জিহাদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। জিহাদ ঢাকায় থাকতেন। একপর্যায়ে হৃদয় ও সোহাগের সঙ্গে ওই নারী সম্পর্ক গড়ে উঠে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন জিহাদ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দিন গভীর রাতে ওই গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে গেলে হৃদয়, সোহাগসহ কয়েকজন মিলে জিহাদকে নদীর পাড়ে নিয়ে হত্যা করেন। তবে গ্রেপ্তার সোহাগ বিষয়টি স্বীকার করেননি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।