আগের সরকারগুলোর মতো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশে অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিকেরা কাজ করেও বেতন পাচ্ছেন না, মালিকেরা তাঁদের রাস্তায় ঠেলে দিচ্ছেন। গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবেও কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনের সামনে সিপিবি আয়োজিত সমাবেশে দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এ কথা বলেন। এ সময় ১৮৮৬ সালে মহান মে দিবসে শিকাগোর বীর শহীদ শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।

সিপিবির সভাপতি শাহ আলম সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশে অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিকেরা কাজ করেও বেতন পাচ্ছেন না, মালিকেরা তাঁদের রাস্তায় ঠেলে দিচ্ছেন। দেশে ছয় লক্ষাধিক আউটসোর্সিং শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই, সংগঠন করার অধিকার নেই। তাঁদের শ্রম আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে, যা গর্হিত অপরাধ। তিনি বলেন, আগের সরকারগুলোর মতো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করছে। গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবেও কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ৩০ হাজার টাকা জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে। কারখানায় শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাঁটাই-নির্যাতন, হামলা-হামলা ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি মাহাবুব আলম, শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ প্রমুখ। সমাবেশের পর মিছিল বের করে সিপিবি। মিছিলটি পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে আবারও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক ঘণ্টায় আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এসব হামলায় ১০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে আরও এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। হাইফা, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণ ও বিকট শব্দ শোনা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সারা দেশে ১০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ