কাশ্মীরে হত্যাকাণ্ড সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের অঙ্গীকারকে দৃঢ় করেছে
Published: 2nd, May 2025 GMT
কাশ্মীরে হত্যাকাণ্ড সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আমাদের সামগ্রিক চৈতন্যে নাড়া দিয়েছে। এটা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের অভিশাপকে শেষ করে দিতে আমাদের সংগ্রামের অঙ্গীকারকে আরও পাকাপোক্ত করেছে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে হামলায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মরণে শুক্রবার হাইকমিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রণয় ভার্মা এসব কথা বলেন।
ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। হামলার ক্ষেত্রে পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করেছে বলে ভারতের অভিযোগ।
হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্কে আরও অবনতি ঘটে। তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করে ফেলে; একে অপরের নাগরিকদের বিতাড়িত করাসহ দ্বিপক্ষীয় নানা চুক্তিও স্থগিত হয়ে যায়।
আয়োজনের কথা তুলে ধরে ফেসবুক পোস্টে হাইকমিশন জানিয়েছে, হামলায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন একটি ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হাইকমিশন জানায়, হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারীও সে আয়োজনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রণয় ভ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাজপরিবারের সঙ্গে সমঝোতা চান প্রিন্স হ্যারি
রাজপরিবারের সঙ্গে সমঝোতার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রিন্স হ্যারি। যুক্তরাজ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনি লড়াইয়ে হারের পর বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডিউক অব সাসেক্স হেনরি চার্লস আলবার্ট ডেভিড এই আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। আবেগঘন ওই সাক্ষাৎকারে বাবা রাজা চার্লসের স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি।
হ্যারি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত এইসব কারণে বাবা (চার্লস) তার সঙ্গে কথা বলবেন না। কিন্তু তিনি আর লড়তে চান না। তাছাড়া, বাবা কতদিন বাঁচবেন তাও তিনি জানেন না।
১৫ মাস আগে যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। কিছুদিন আগে চার্লস ব্যক্তিগত এক বার্তায় তার ক্যান্সারের অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। এরপরই বাবাকে নিয়ে ওই কথা বললেন প্রিন্স হ্যারি।
যুক্তরাজ্যে সফরকালে হ্যারি ও তার পরিবারের পুলিশি নিরাপত্তার মাত্রা নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ে হেরে যান প্রিন্স হ্যারি। শুক্রবার মামলার রায় ঘোষণা করে লন্ডনের আপিল আদালত।
২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে স্ত্রী মেগান মার্কেলকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান প্রিন্স হ্যারি। এরপর যুক্তরাজ্য সরকার হ্যারিকে আর আগের মতো সরকার-প্রদত্ত নিরাপত্তা না দেওয়া এবং প্রতিটি সফরের ক্ষেত্রে তা আলাদাভাবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রথম মামলায় হারের পর হ্যারি আপিল করেন। তার আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, হ্যারিকে ‘অযৌক্তিক ও কম মানের’ নিরাপত্তা দিয়ে অন্যদের তুলনায় আলাদাভাবে দেখা হয়েছে। কিন্তু আদালত সেই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে।
সরকারের পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, হ্যারির নিরাপত্তা কমানোর কারণ হচ্ছে, তার রাজকীয় অবস্থানের পরিবর্তন। তিনি এখন বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে বাস করেন।
মামলায় পুনরায় পরাজয়ের পর হ্যারি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে চাই। আইনি লড়াই করার আর কোনও মানে হয় না। জীবন মূল্যবান।
তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের কিছু সদস্য ও আমার মধ্যে অনেক মতবিরোধ, মতভেদ আছে। কিন্তু এখন সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্ত্রী মেগান এবং সন্তানকে রাজপরিবারে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব না, সেকথাও বলেছেন হ্যারি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছে তার ফলে পরিবারসহ নিরাপদে যুক্তরাজ্যে ফেরা ‘অসম্ভব’ হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।