অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবাহ এর আগেও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন। এবারই প্রথম বড় আয়োজনের কোনো ওয়েব সিরিজে তাকে দেখা যাবে। প্রচারের অপেক্ষায় আসা সিরিজটির নাম ‘গুলমোহর’। এটি নির্মাণ করেছেন ‘কারাগার’খ্যাত পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকী।

এতে অভিনয় প্রসঙ্গে সারিকা সাবাহ বলেন, “ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গর ‘মুসবিত’সহ আরও কয়েকটি ওয়েব সিরিজে এর আগে অভিনয় করেছি। এবারই প্রথম আমি বিগ বাজেটের সিরিজে অভিনয় করেছি। ‘গুলমোহর’ মূলত পারিবারিক সমস্যার গল্পের ওয়েব সিরিজ। নিজের অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে আপাতত কিছু না বলা গেলেও আমি প্রচণ্ড আশাবাদী ‘গুলমোহর’ নিয়ে। কারণ, শাওকী ভাই ভীষণ যত্ন নিয়ে ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করেছেন। আমিও আমার চরিত্রে সর্বোচ্চ শ্রম দেওয়ার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে। আশা করছি, প্রচারে এলে দর্শকের ভালো লাগবে।”

জানা যায়, শিগগিরই ‘গুলমোহর’ ওয়েব সিরিজটি একটি ওটিটি প্লাটফর্মে প্রচারে আসবে। প্রচারে আসার আগে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো দেওয়া হবে। এদিকে সারিকা সাবাহ আপাতত নাটকে অভিনয় করছেন না। তবে জানান, আবারও তিনি শিগগির নাটকের কাজ শুরু করবেন।

সর্বশেষ সারিকাকে ‘দুই জোনাকির গল্প’, ‘ঈদ কার্ড’, ‘মি অ্যান্ড মাই এক্স’ নাটকে অভিনয়ে দেখা গেছে। নাটকগুলোতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, জোভান ও তৌসিফ মাহবুব। আপাতত নাটকে অভিনয় না করলেও বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

সারিকা সাবাহ জানান, এরইমধ্যে প্রচারে আসা তাঁর বিজ্ঞাপন দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। একটি হলো শঙ্খ দাশগুপ্তর নির্দেশিত ‘ভিম লিকুইডার’ ও অন্যটি সাবরিনা আইরনের ‘বিকাশ’-এর বিজ্ঞাপন। দুটি বিজ্ঞাপনেই তাঁর উপস্থিতি দর্শক প্রশংসিত হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ