এবার ‘কারাগার’ নির্মাতার সিরিজে সারিকা
Published: 3rd, May 2025 GMT
অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবাহ এর আগেও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন। এবারই প্রথম বড় আয়োজনের কোনো ওয়েব সিরিজে তাকে দেখা যাবে। প্রচারের অপেক্ষায় আসা সিরিজটির নাম ‘গুলমোহর’। এটি নির্মাণ করেছেন ‘কারাগার’খ্যাত পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকী।
এতে অভিনয় প্রসঙ্গে সারিকা সাবাহ বলেন, “ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গর ‘মুসবিত’সহ আরও কয়েকটি ওয়েব সিরিজে এর আগে অভিনয় করেছি। এবারই প্রথম আমি বিগ বাজেটের সিরিজে অভিনয় করেছি। ‘গুলমোহর’ মূলত পারিবারিক সমস্যার গল্পের ওয়েব সিরিজ। নিজের অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে আপাতত কিছু না বলা গেলেও আমি প্রচণ্ড আশাবাদী ‘গুলমোহর’ নিয়ে। কারণ, শাওকী ভাই ভীষণ যত্ন নিয়ে ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ করেছেন। আমিও আমার চরিত্রে সর্বোচ্চ শ্রম দেওয়ার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে। আশা করছি, প্রচারে এলে দর্শকের ভালো লাগবে।”
জানা যায়, শিগগিরই ‘গুলমোহর’ ওয়েব সিরিজটি একটি ওটিটি প্লাটফর্মে প্রচারে আসবে। প্রচারে আসার আগে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো দেওয়া হবে। এদিকে সারিকা সাবাহ আপাতত নাটকে অভিনয় করছেন না। তবে জানান, আবারও তিনি শিগগির নাটকের কাজ শুরু করবেন।
সর্বশেষ সারিকাকে ‘দুই জোনাকির গল্প’, ‘ঈদ কার্ড’, ‘মি অ্যান্ড মাই এক্স’ নাটকে অভিনয়ে দেখা গেছে। নাটকগুলোতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, জোভান ও তৌসিফ মাহবুব। আপাতত নাটকে অভিনয় না করলেও বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
সারিকা সাবাহ জানান, এরইমধ্যে প্রচারে আসা তাঁর বিজ্ঞাপন দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। একটি হলো শঙ্খ দাশগুপ্তর নির্দেশিত ‘ভিম লিকুইডার’ ও অন্যটি সাবরিনা আইরনের ‘বিকাশ’-এর বিজ্ঞাপন। দুটি বিজ্ঞাপনেই তাঁর উপস্থিতি দর্শক প্রশংসিত হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক