২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকার সমন্বিত মুনাফা করেছে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে কোম্পানিটির মুনাফা ৭০ কোটি টাকা বা সাড়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ইউনাইটেড পাওয়ারের মুনাফা ছিল ১ হাজার ৬৫ কোটি টাকা।

গত বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় চলতি অর্থবছরের তিন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। এই প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি-মার্চের আয়-ব্যয়ের হিসাবও আলাদাভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। গতকাল রোববার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে তা বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির সমন্বিত আয় ছিল ৩ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৮৭ কোটি টাকা বা ২৪ শতাংশ। এই আয় থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও প্রশাসনিক খরচ বাদ দেওয়ার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। এই পরিচালন মুনাফা থেকে বৈদেশিক মুদ্রাজনিত লোকসান, সুদ বাবদ ব্যয় ও কর বাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত মুনাফা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকায়। তাতে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসও বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ টাকা ৩২ পয়সায়। গত অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১৮ টাকা ৩৮ পয়সা।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ইউনাইটেড পাওয়ার বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের কারণে প্রায় ১৩ কোটি টাকা লোকসান করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯ কোটি টাকা।

এদিকে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে; অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪২৪ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩১৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসের বিবেচনায় গত বছরের চেয়ে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইউনাইটেডের মুনাফা বেড়েছে ১০৭ কোটি টাকা বা ৩৪ শতাংশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বছর র একই সময়

এছাড়াও পড়ুন:

৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে মাইক্রোসফট

প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পর প্রথমবারের মতো চার ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়ন = ১০০০ বিলিয়ন) ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছেছে মাইক্রোসফট। গতকাল শুক্রবার কোম্পানিটির শেয়ারের দরের ঊর্ধ্বগতিতে এই মাইলফলকে পৌঁছায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। চলতি মাসের শুরুতে প্রথমবারের মতো চার ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য স্পর্শ করে চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। মাইক্রোসফট এখন সেই ক্লাবের দ্বিতীয় সদস্য।

গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরে আজুর থেকে আয় হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ ডলারের বেশি। এই ঘোষণা আসার পরপরই মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করে। গতকাল লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রায় ৪ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে মাইক্রোসফট চার ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

গত এক দশকে ক্লাউড কম্পিউটিং খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে মাইক্রোসফট। এরই ফল আজুরের এই সাফল্য। রাজস্বের দিক দিয়ে আজুর এখন গুগল ক্লাউডকে ছাড়িয়ে গেছে। যদিও এখনো অ্যামাজনের ওয়েব সার্ভিসেসের (এডব্লিউএস) পরেই অবস্থান করছে। আজুর এখন মাইক্রোসফটের প্রায় সব খাতে কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। চ্যাটজিপিটিসহ বিভিন্ন এআই প্রকল্প, অফিস সফটওয়্যার, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম, গেমিং প্ল্যাটফর্ম এক্সবক্সসহ নানা সেবার পেছনে রয়েছে এই ক্লাউড অবকাঠামো।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ভবিষ্যতের কম্পিউটিং প্রযুক্তির প্রয়োজন মেটাতে যে সক্ষমতা গড়ে তোলা দরকার, তাতে নিজেদেরকে অনেকটাই প্রস্তুত করে ফেলেছে মাইক্রোসফট। চলতি বছরের শুরুতে ১০০ বিলিয়ন ডলারের ‘স্টারগেট প্রকল্প’ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা সে সময় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমি আমার ৮০ বিলিয়নের জন্য প্রস্তুত।’

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা অ্যামি হুড জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অবকাঠামো নির্মাণে পরবর্তী প্রান্তিকেই আরও ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে মাইক্রোসফটের। এই গতিতে বিনিয়োগ চলতে থাকলে ২০২৬ অর্থবছরে কেবল ক্লাউড ও এআই খাতেই কোম্পানিটির ব্যয় ১২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২৫%
  • জুলাই মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২৯%
  • জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৮ কোটি ডলার
  • ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে মাইক্রোসফট