৯ মাসে মুনাফা ১,১৩৫ কোটি টাকা মুনাফা করল ইউনাইটেড পাওয়ার
Published: 5th, May 2025 GMT
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকার সমন্বিত মুনাফা করেছে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে কোম্পানিটির মুনাফা ৭০ কোটি টাকা বা সাড়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ইউনাইটেড পাওয়ারের মুনাফা ছিল ১ হাজার ৬৫ কোটি টাকা।
গত বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় চলতি অর্থবছরের তিন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। এই প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি-মার্চের আয়-ব্যয়ের হিসাবও আলাদাভাবে অনুমোদন করা হয়েছে। গতকাল রোববার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে তা বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়।
আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির সমন্বিত আয় ছিল ৩ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৮৭ কোটি টাকা বা ২৪ শতাংশ। এই আয় থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও প্রশাসনিক খরচ বাদ দেওয়ার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। এই পরিচালন মুনাফা থেকে বৈদেশিক মুদ্রাজনিত লোকসান, সুদ বাবদ ব্যয় ও কর বাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত মুনাফা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকায়। তাতে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসও বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ টাকা ৩২ পয়সায়। গত অর্থবছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১৮ টাকা ৩৮ পয়সা।
আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ইউনাইটেড পাওয়ার বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের কারণে প্রায় ১৩ কোটি টাকা লোকসান করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯ কোটি টাকা।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে; অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪২৪ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩১৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসের বিবেচনায় গত বছরের চেয়ে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইউনাইটেডের মুনাফা বেড়েছে ১০৭ কোটি টাকা বা ৩৪ শতাংশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র একই সময়
এছাড়াও পড়ুন:
বাজেটকে সমৃদ্ধ করতে নারীর প্রতি আরও সংবেদনশীল হতে হবে: ফওজিয়া মোসলেম
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, জাতীয় বাজেটকে সমৃদ্ধ করতে নারীর প্রতি আরও সংবেদনশীল হতে হবে। বাজেটের বরাদ্দ যদি ঠিক না থাকে তাহলে, কোনখানে বরাদ্দটা বেশি হতে হবে সেই গুরুত্বটা বোঝা যাবে না।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত বাজেট-পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফওজিয়া মোসলেম আরও বলেন, ‘আমাদের সবার লক্ষ্যটা বাজেটে নারীর প্রতি সংবেদনশীলতা কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে এবং এই প্রতিফলনের ফলে নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তা দেখা।’
সমাজের অত্যন্ত গভীরে নারীর প্রতি বিদ্বেষ জমা হয়ে আছে উল্লেখ করে মহিলা পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমরা বলতেছি যে নারীর প্রতি বৈষম্য কমছে কিন্তু আমরা গত আট–নয় মাসে যেটা দেখলাম, সমাজের অত্যন্ত গভীরে নারীর প্রতি বিদ্বেষ জমা হয়ে আছে। যেটা বিস্ফোরণ ঘটল, এখনো চলছে।’
মহিলা পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী। তিনি বলেন, ২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বরাদ্দের তুলনায় ২০২৬ অর্থবছরে লিঙ্গ-সম্পর্কিত বরাদ্দ ৪ শতাংশ কমেছে। ২০২৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৬৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে ২০২৬ অর্থবছরে ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৬ দশমিক ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) মনজুর হোসেন বলেন, জেন্ডার বাজেটিং আগে একসময় ছিল না, এখন এগুলো শুরু হয়েছে এবং সে ক্ষেত্রে মহিলা পরিষদের একটা বড় ভূমিকা ছিল। একটা অস্থির পরিবেশের মধ্য দিয়ে এই সরকার যাচ্ছে, সেটা সবাই জানে। এ কারণে খুব বেশি প্রত্যাশা করাটা হয়তো ঠিক হবে না।
সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। বৈশ্বিক এবং জাতীয় পর্যায়ে অনেক নীতিমালা গৃহীত হয়েছে, অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে কিন্তু আমরা জানি যে সেখানে বিনিয়োগটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তবায়ন পর্যায়ে এবারের জাতীয় বাজেটে কতটুকু ‘‘জেন্ডার সৃজনশীল প্রতিফলন’’ হয়েছে, সেটা আমরা আসলে দেখতে চাই।’
মহিলা পরিষদের আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া খাতুনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সানেমের ডেপুটি ডিরেক্টর ইশরাত শারমিন, ইউএনডিপির জেন্ডার টিম লিডার শারমিন ইসলাম, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক উম্মে মারজান, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম, দলিত নারী ফোরামের প্রকল্প কর্মকর্তা তামান্না সিং বড়াইক প্রমুখ।