বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণসহ মারধর করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় হিরো আলমসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বগুড়ার পিবিআই পুলিশ সুপারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল নং-১ এর আদালতে গত রোববার মামলাটি করেন এক নারী। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.

আনোয়ারুল হক, বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে তদন্তের জন্য আদেশ দেন। 

বগুড়ার এরুলিয়া পশ্চিমপাড়ার মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে হিরো আলম ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তার মেয়ে আলো বেগম, ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিন, মালেক ও তার স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবাবী সেলিম। 

বাদীর অভিযোগ, তাকে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন হিরো আলম। এরপর তিনি বিয়ের আশ্বাসে তাকে ধর্ষণ করেন। মৌলভী ডেকে তাকে ‘বিয়ে’ করে হিরো আলম বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করতে থাকেন। এরই মধ্যে হিরো আলম ১৫ লাখ টাকা ধার নেন। পরে হিরো আলমকে বিয়ের কাবিনের জন্য চাপ দিলে গত ১৮ এপ্রিল তাকে বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। কিন্তু তিনি সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হলে অন্য আসামিরা গত ২১ এপ্রিল তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। ওই দিন তাকে বগুড়া শহরে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি চিকিৎসা নেন মর্মে অভিযোগে বলা হয়।

তবে হিরো আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ওই নারীকে চিনি না। আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ র আলম র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে ৬ থানার ওসিকে একযোগে বদলি

ময়মনসিংহের ছয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একযোগে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার ও সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-২ শাখা থেকে এআইজি মো. মিনহাজুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের বদলির আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

যেসব থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে সেই থানাগুলো হলো- কোতোয়ালি মডেল থানা, গৌরীপুর, ভালুকা, নান্দাইল, হালুয়াঘাট ও মুক্তাগাছা। সোমবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে চার ওসির বদলির আদেশ জারি করা হয়। এর আগে রোববার আরও দুই থানার ওসির বদলির আদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সোমবারের আদেশে বদলি হয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম খান শফিক, গৌরীপুর থানার ওসি মির্জা মাজহারুল আনোয়ার, ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. শামছুল হুদা খান এবং নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহমেদ। এর মধ্যে শফিকুল ইসলাম খান, মাজহারুল আনোয়ার ও মো. শামছুল হুদা খানকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে এবং ফরিদ আহমেদকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

অপরদিকে রোববারের একটি আদেশে হালুয়াঘাট থানার ওসি আবুল খায়েরকে এপিবিএন এবং মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ কামাল হোসেনকে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. শামছুল হুদা খান ঘুষ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকায় তার একাধিক বাড়ি ও ফ্লাট রয়েছে। হালুয়াঘাট থানার ওসি আবুল খায়ের বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন তারাকান্দা থানার ওসি থাকা অবস্থায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের আস্থাভাজন হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের ব্যাপক নির্যাতন করেছেন। ৫ আগস্টের পর শক্ত লবিং ও তদবিরের মাধ্যমে তিনি সীমান্ত এলাকা হালুয়াঘাটের অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব পান। অভিযোগ আছে, এক শ্রেণির দালালদের সঙ্গে সখ্যতা করে সীমান্তে অবৈধ পারাপার ও চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ