হিরো আলমের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
Published: 5th, May 2025 GMT
বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণসহ মারধর করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় হিরো আলমসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বগুড়ার পিবিআই পুলিশ সুপারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল নং-১ এর আদালতে গত রোববার মামলাটি করেন এক নারী। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.
বগুড়ার এরুলিয়া পশ্চিমপাড়ার মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে হিরো আলম ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তার মেয়ে আলো বেগম, ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিন, মালেক ও তার স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবাবী সেলিম।
বাদীর অভিযোগ, তাকে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন হিরো আলম। এরপর তিনি বিয়ের আশ্বাসে তাকে ধর্ষণ করেন। মৌলভী ডেকে তাকে ‘বিয়ে’ করে হিরো আলম বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করতে থাকেন। এরই মধ্যে হিরো আলম ১৫ লাখ টাকা ধার নেন। পরে হিরো আলমকে বিয়ের কাবিনের জন্য চাপ দিলে গত ১৮ এপ্রিল তাকে বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। কিন্তু তিনি সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হলে অন্য আসামিরা গত ২১ এপ্রিল তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। ওই দিন তাকে বগুড়া শহরে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি চিকিৎসা নেন মর্মে অভিযোগে বলা হয়।
তবে হিরো আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ওই নারীকে চিনি না। আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শুক্রবারের হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন।
এরমধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায় প্রাণ গেছে ২২ জনের। এদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।
এদিকে গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।
এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে ১ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা