ঘরের আড়ায় ঝুলছিল ধর্ষণের শিকার সেই স্কুলছাত্রী
Published: 7th, May 2025 GMT
ফরিদপুরের সালথায় ইতি আক্তার (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামের নিজ ঘরের আড়া থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সম্প্রতি বিয়ের আশ্বাসে নিহত ওই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
ইতি সিংহপ্রতাপ গ্রামের দিনমজুর মো.
পুলিশ জানায়, ইতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানার (২২)। ইতির মা প্রবাসে থাকেন এবং বাবা-ভাই জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন এলাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। গত ১৪ মার্চ ইতি বাড়িতে একা ছিল। ওই দিন বিয়ের আশ্বাসে সোহেল তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তার বাবা সিদ্দিক বিশ্বাস বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সালথা থানায় মামলা করেন। মামলার পর ২০ এপ্রিল রাতে পটুয়াখালী থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
ইতির পরিবারের সদস্যরা জানান, সোহেল গ্রেপ্তার হওয়ার পরও উভয় পরিবার মীমাংসার চেষ্টা করে। তবে তাদের বিয়েতে রাজি হয়নি সোহেলের পরিবার। এ কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল ইতি। বুধবার সকালে নিজ ঘরের আড়ায় তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবার। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার ইতির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ইতির পরিবার সোহেলের সঙ্গে তার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। এতে সোহেলের পরিবার রাজি না হওয়ায় অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
ইবিতে ছাত্রীর পোশাক নিয়ে শিক্ষকের কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য?’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়’, ‘ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে সমান অধিকার’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘ভেটেরিনারি পরিবারে সমান অধিকার’, ‘সমন্বিত শিক্ষা দেশের সম্মান’, ‘আদিম পশু পালনে নয়, বরং সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় গবি ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”
আরেক শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু করা হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন—উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও স্বৈরাচারী আচরণ।”
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী