নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির ছোড়া গুলিতে ২ বাংলাদেশি বিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। একই সময় আরো তিন জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১২ মে) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সাবরাং এবং লেদা সীমান্ত সংলগ্ন নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা হেদায়েত উল্লাহ (১৭) ও হোসেন (১৬)।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘‘দুপুরে নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরতে গেলে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে একজনের হাঁটু ও অন্যজনের পায়ে গুলি লাগে। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপিসহ মিয়ানমারের ৪০ নাগরিককে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানিতে আরকান আর্মিও পয়সা নিচ্ছে

অন্যদিকে, একই সময় লেদা এলাকার নাফ নদী সংলগ্ন অংশ থেকে তিন জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী।

অপহৃতরা হলেন- সিদ্দিক হোসেন (২৭), রবিউল আলম (২৭) ও মাহমুদ হোসেন (৩০)। তারা সবাই পূর্ব লেদার লামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘‘তাদের কেউ পেশাদার জেলে নন। তারা কেন নদীতে গিয়েছিলেন তা নিশ্চিত নই। তবে, তারা একটি নৌকা নিয়ে নদীতে নেমেছিলেন। আরাকান আর্মির সদস্যরা গুলি ছুড়ে এবং পরে ধাওয়া করে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’’

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘‘লেদার ঘটনাটি শুনেছি। তবে, তারা প্রকৃত জেলে নাকি মাদক কারবারি তা স্পষ্ট নয়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘অপহৃতদের ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত আর ক ন আর ম র ন ফ নদ

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদী থেকে তিন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার লেদা এলাকায় নাফ নদী থেকে তিন বাংলাদেশিকে নৌকাসহ ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। তাঁরা হলেন সিদ্দিক হোসেন (২৭), রবিউল আলম (২৭) ও মাহমুদ হোসেন (৩০)। তাঁরা তিনজনই টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদার লামারপাড়ার বাসিন্দা।

আজ সোমবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার লেদা–সংলগ্ন নাফ নদী থেকে তাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে টানা ১১ মাস সরকারি জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের পর গত ৮ ডিসেম্বর মংডু টাউন দখল করে নেয় আরাকান আর্মি। এরপর নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির তৎপরতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে নাফ নদী থেকে বাংলাদেশি জেলেদের ট্রলারসহ অপহরণের ঘটনাও। জেলেরা এসব ঘটনার জন্য আরাকান আর্মিকে দায়ী করেছেন।

হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরের দিকে যে তিনজনকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে, তাঁরা জেলে নন। কেন তাঁরা নাফ নদীতে গেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারেননি তিনি। তবে স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে ওই তিনজন নৌকা নিয়ে নেমেছিলেন। আরাকান আর্মি তাঁদের দেখতে পেয়ে গুলি চালায়। পরে তাঁদের ধাওয়া করে আটক করে নিয়ে যায়। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছেন তিনি।

মোহাম্মদ আলী ছাড়াও স্থানীয় জেলেরা অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল হুদা স্থানীয় জেলেদের বরাত দিয়ে বলেন, নাফ নদী থেকে তিনজনকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে রাখাইন রাজ্য দখলের পর আরাকান আর্মি নাফ নদীতে মাছ আহরণসহ নৌকা চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। এর মধ্যে নাফ নদী থেকে নৌকাসহ তিনজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে তাঁরা জেলে, নাকি মাদক কারবারি, সেটি পরিষ্কার নয়। কারণ, ওই এলাকা দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাদকের বড় বড় চালান জব্দের ঘটনা ঘটেছে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২০৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জনকে ফেরত আনা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাফ নদী থেকে তিন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
  • পাচারকারীদের ‘জিম্মিঘর’ থেকে উদ্ধার ১৪
  • আয়নাঘরের প্রতিষ্ঠাতার পুনর্বাসন চায় না দেশের মানুষ: তারেক রহমান