লোহাগাড়ায় বসতঘরের দেয়ালচাপায় দিনমজুর নিহত
Published: 17th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে আলী মিয়া (৫০) নামের এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের হরিদার ঘোণা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলী মিয়া ওই এলাকার মৃত আবদুল আজিমের ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, সকালে ওই দিনমজুর এলাকায় একটি আধপাকা বসতঘর ভাঙার কাজ করছিলেন। এ সময় দেয়ালের একটি অংশ ভেঙে তাঁর গায়ের ওপর পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক গোবিন্দ চন্দ্র দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ নমজ র
এছাড়াও পড়ুন:
পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ভাশুরকে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লার মুরাদনগরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় প্রেমিককে দিয়ে ভাসুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শাহিদা আক্তারের নামে গৃহবধূর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত প্রেমিক ইব্রাহিমের বসতঘরে মাটির নিচ থেকে নিহত মনিরের (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনির মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ইউসুফনগর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত শাহিদা আক্তার (২২), তার প্রেমিক ইব্রাহিম (২০) ও তার মা আমেনাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মনিরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শাহিদার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান ইব্রাহিম। বিষয়টি জানতে পেরে ১৫ দিন আগে শাহিদাকে শাসন করেন ভাশুর মনির। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শাহিদা ও ইব্রাহিম। গত ১ জুলাই রাতে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় মনিরকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ইব্রাহিম। পরে লাশ নিজের বসতঘরে নিয়ে মাটিচাপা দেন। এ ঘটনা দেখে ফেলেন ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগম। এসময় মুখ বন্ধ রাখতে মাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন ইব্রাহিম। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয়দের চাপে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন আমেনা। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইব্রাহিমের বসতঘরের মাটির নিচে পুঁতে রাখা মনিরের লাশ শনাক্ত করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে মনিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিদা, ইব্রাহিম ও তার মা আমেনাকে এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা শাহিদা ও ইব্রাহিমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় তাজুল ইসলামের স্ত্রী শাহিদা বেগম, তার প্রেমিক ইব্রাহিম ও ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগমকে আটক করা হয়েছে।