যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ২১
Published: 17th, May 2025 GMT
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি ও মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে টর্নেডোর আঘাতে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তীব্র আবহাওয়ার কারণে ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং মিসৌরিতে সাতজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার ভোরে রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বে লরেল কাউন্টিতে টর্নেডো আঘাত হেনেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
মিসৌরির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার টর্নেডোর আঘাতে পাঁচ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ছাদ ধ্বংস হয়েছে এবং বিদ্যুৎ লাইন ভেঙে পড়েছে। সেন্ট লুইসের প্রায় এক লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
লরেল কাউন্টির শেরিফ জন রুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছেন, “জীবিতদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।”
জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, টর্নেডোটি স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের কিছু পরে শহরের পশ্চিমে ফরেস্ট পার্কের কাছে আঘাত হানে।
ধ্বংসস্তূপ অপসারণে এবং লুটপাটের সম্ভাবনা কমাতে স্থানীয় সময় রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সেন্ট লুইসের মেয়র কারা স্পেন্সার বলেছেন, “প্রাণহানি ও ধ্বংসস্তূপ সত্যিই, সত্যিই ভয়াবহ। আগামী দিনগুলোতে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আজ রাতে আমরা জীবন বাঁচাতে, মানুষকে নিরাপদ রাখতে এবং আমাদের সম্প্রদায়কে শোক প্রকাশ করার দিকে মনোনিবেশ করছি।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ
বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।
দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।
পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’
সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসীসম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।
এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।
সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।
রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা