শিল্প-সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘একান্নবর্তী-রণজিৎ বিশ্বাস স্মৃতি সম্মাননা ২০২৫’ পেয়েছেন চার গুণীজন। 

শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- কবি, গীতিকার ও প্রাবন্ধিক মতেন্দ্র মানখিন, কথাসাহিত্যিক হাসান অরিন্দম, চলচ্চিত্র পরিচালক অপরাজিতা সঙ্গীতা এবং শিশুসাহিত্যিক (মরণোত্তর) রাইদাহ গালিবা কুইন।

সাহিত্যের ছোট কাগজ একান্নবর্তীর সম্পাদক শেলী সেনগুপ্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড.

ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কাপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদ।

অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনরা অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সেখানে কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীলসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রবীর পাল।

প্রয়াত সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কবি ও লেখক রণজিৎ কুমার বিশ্বাসকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, রণজিৎ বিশ্বাস ছিলেন বহু গুণে গুণান্বিত ব্যক্তি। তিনি ভীষণ আন্তরিক ও রুচিবান মানুষ ছিলেন। সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। ক্রিকেট নিয়ে তার লেখা ছিল বেশ জনপ্রিয়। তার কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। ‘কুড়িয়ে পাওয়া সংলাপ’, ‘মানুষ ও মুক্তিযুদ্ধের সংলাপ’, ‘শুদ্ধ বলা শুদ্ধ লেখা’, ‘হৃদয়ের ক্ষরণকথা’ রণজিৎ বিশ্বাসের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ণ জন রণজ ৎ ব শ ব স অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ