কেসিসি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীকে জয়ী দাবি করে মামলা
Published: 18th, May 2025 GMT
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জালিয়াতিপূর্ণ ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে হাতপাখার প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়ালকে বিজয়ী ঘোষণার দাবিতে মামলা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রবিবার (১৮ মে) অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল বাদী হয়ে খুলনার যুগ্ম-জেলা জজ-১ এর বিচারক খোরশেদ আলমের আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে আদালত আগামী ২৮ মে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মোহা.
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ১২ জুন হামলা-মামলার মধ্যে দিয়ে কেসিসি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হয় এবং বুথ থেকে হাতপাখার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়। সারা দিন আতঙ্ক সৃষ্টি করে জালিয়াতি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীকে ৬০ হাজার ৬৪ ভোট দেখিয়ে দ্বিতীয় করা হয়। প্রকৃতপক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে জনতা ভোট দিতে পারলে হাতপাখার প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হতেন।
আরো পড়ুন:
নগর ভবনের সামনে আজও ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ
রায়ের সমালোচনাকারীরা আদালত অবমাননা করছেন: ইশরাক
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর ও মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, দলের খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মোহা. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, প্রচার ও দওয়া বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম কবির প্রমুখ।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কংগ্রেসে ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলোচিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ দেশটির কংগ্রেসে চূড়ান্ত বাধা পেরিয়েছে। কংগ্রেসের রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অল্প ব্যবধানে কর হ্রাস ও সরকারি ব্যয়ের বিশাল এই প্যাকেজ পাস হয়।
প্রতিনিধি পরিষদে ২১৮-২১৪ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাস হয়েছে। পরে এতে সই করেন স্পিকার মাইক জনসন। আলোচিত এই বিলটি কংগ্রেসে পাস হওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিলটি নিয়ে ট্রাম্পের নিজ দলেও প্রবল বিরোধিতা ছিল। শেষ পর্যন্ত বিলটি পাস হওয়ায় রিপাবলিকান পার্টির জ্যেষ্ঠ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এখন তিনি সই করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি বিলটি কোনোরকম উতরে যায়। সিনেটে বিলটি ৫১-৫০ ভোটে পাস হয়। বিলের পক্ষে-বিপক্ষে সমান ভোট পড়ায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ‘টাই’ ভেঙে বিলের পক্ষে ভোট দেন। বিলটির বিপক্ষে ভোট দেওয়া ডেমোক্র্যাটদের ৪৭ সদস্যের সঙ্গে ৩ জন রিপাবলিকানও যোগ দেন।
এই বিলে কর কমানো, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ কমানো, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
বিলটি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে দেওয়া কর ছাড়েরই সম্প্রসারিত রূপ। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে খরচও বাড়ানো হবে।
এই বিলে কম আয়ের মার্কিন নাগরিকদের জন্য মেডিকেইড নামের স্বাস্থ্য কর্মসূচি ও খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির খরচ থেকে প্রায় ৯৩ হাজার কোটি ডলার কাটাছাঁটের কথা বলা হয়েছে। এতে লাখ লাখ আমেরিকান স্বাস্থ্য বিমার বাইরে চলে যাবেন।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে পাস হলো ট্রাম্পের আলোচিত ব্যয় বিল ০২ জুলাই ২০২৫