লামায় তামাক কোম্পানির কার্যালয় থেকে লুট হওয়া আরও ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার
Published: 18th, May 2025 GMT
বান্দরবানের লামায় আবুল খায়ের তামাক কোম্পানির অফিস থেকে লুট হওয়া আরও ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা পুলিশ উদ্ধার করেছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে চকরিয়ার সাহারবিল ইউনিয়নে কোরালখালীতে মাটি খুঁড়ে টাকা পাওয়া যায়। এই নিয়ে লুট হওয়া ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকার মধ্যে ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আজ রোবববার রাতে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, লামা পৌরসভায় আবুল খায়ের তামাক কোম্পানির অফিসে ডাকাতির ঘটনায় আজ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টাকা উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
শনিবার রাতে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী গ্রামে একজন সন্দেহভাজনের বাড়ির পাশে মাটি খুঁড়ে ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে ২১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা লামা পৌরসভার গ্রেপ্তারকৃতদের বাসাবাড়ির আশপাশে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছিল।
৮ মে রাতে লামা পৌরসভার লাইনঝিরি এলাকায় আবুল খায়ের তামাক কোম্পানির অফিসে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি ডাকাত দল ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। কোম্পানির ব্যবস্থাপক আব্দুর রব জানিয়েছেন, ঘটনার পর কোম্পানি থেকে ১৫–২০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। টাকা উদ্ধার হয়েছে শুনলেও মামলা প্রক্রিয়ায় না হলে কোম্পানির কাছে আসার সুযোগ নেই। তামাকের মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে তামাকের মূল্য পরিশোধ, শ্রমিক বেতনসহ কয়েক কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। বহু বছর ধরে এভাবে লেনদেন চললেও এবার প্রথম ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার আটজন থেকে পাওয়া তথ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ডাকাতেরা লুট করা টাকা বিভিন্ন জায়গায় মাটিতে লুকিয়ে রেখেছে। তাদের দেওয়া তথ্যে মাটি খুঁড়ে বিভিন্ন জায়গায় টাকা পাওয়া যাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যেসব লক্ষণ ডায়াবেটিসের পূর্বাভাস দেয়
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ—এই চারটি বিষয় সরাসরি টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে অনেক সময় দিনের বেলা যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়, তার কিছু নিঃশব্দ বার্তা আমাদের ঘুমের মধ্যেও দেখা দিতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়- চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের মধ্যে দেখা দেয়া কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ টাইপ-টু ডায়াবেটিসের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিতে পারে। সঠিক সময়ে এসব লক্ষণ চিনে না উঠলে তা পরবর্তীতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পরিণত হতে পারে। ঘুমের মধ্যে যেসব লক্ষণ ডায়াবেটিসের পূর্বাভাস দেয়:
১. ঘুমিয়ে উঠেও ক্লান্তিভাব: পর্যাপ্ত ঘুমের পরও যদি শরীর চাঙ্গা না লাগে এবং দুর্বলতা অনুভব করেন, তাহলে তা শরীরে ইনসুলিন কার্যকারিতার ব্যাঘাতের লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিসে শরীর সঠিকভাবে গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারে না, ফলে ঘুমের পরও সতেজ অনুভব হয় না।
২. ঘুমের সময় অতিরিক্ত ঘাম: রাতে ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত ঘাম হলে বা ঘামিয়ে ঘুম ভেঙে গেলে সেটি হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়া) লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘাম স্বাভাবিক ঘটনা নয় এবং অবহেলা করা উচিত নয়।
৩. ঘন ঘন প্রস্রাব পেয়ে ঘুম ভাঙা: রাতের বেলা বারবার প্রস্রাবের চাপ অনুভব করা টাইপ-টু ডায়াবেটিসের একটি প্রচলিত লক্ষণ। উচ্চমাত্রার রক্তশর্করা শরীরকে প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের করে দিতে বাধ্য করে, যার ফলে ঘুম বারবার ভেঙে যেতে পারে।
৪. ঘুমের মধ্যে তীব্র পিপাসা অনুভব: ঘন ঘন প্রস্রাবের ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে, যা ঘুমের মাঝেই তীব্র পিপাসা বা মুখ শুকিয়ে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
৫. হাত-পায়ে ঝিমঝিম বা অসাড়তা: ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ু ক্ষতির (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি) কারণে রাতে ঘুমানোর সময় হাত-পায়ে ঝিমুনি, অস্বস্তি বা অসাড়ভাব অনুভূত হতে পারে।
এই ধরনের লক্ষণ বারবার দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সময়মতো রোগ নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ না করলে তা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
সুস্থ জীবনধারা মেনে চলা—যেমন: নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করার অভ্যাস—টাইপ-টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।