মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড ইয়ামাহা এফজেড ২৫ অবশেষে বাংলাদেশের বাজারে সরবরাহ শুরু করেছে। গত ১১ই এপ্রিল রাজধানী ঢাকায় এক জমকালো লঞ্চিং অনুষ্ঠানে এসিআই মটরস, ইয়ামাহার টেকনিক্যাল কোলাবোরেটেড পার্টনার, এই বহুল প্রতীক্ষিত মডেলটি আনার ঘোষণা দেয়। এরপরই শুরু হয় অনলাইন প্রি-বুকিং, যেখানে গ্রাহকদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যায়।
রোববার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়ামাহা এফজেড ২৫ এর সরবরাহ শুরু হয়েছে। ইয়ামাহা ফ্ল্যাগশিপ সেন্টারে এক বিশেষ ডেলিভারি সেলিব্রেশনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এসিআই মটরসের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সুব্রত রঞ্জন দাস উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি ভাগ্যবান গ্রাহকদের হাতে নতুন এফজেড ২৫ এর চাবি তুলে দেন।
নতুন বাইক হাতে পাওয়ার আনন্দে ক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে বাঁধভাঙা উৎসাহ ও উদ্দীপনা।
এই মডেলটি বাজারে আসার পর থেকেই মোটরসাইকেল প্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল এবং প্রি-বুকিংয়ের অভাবনীয় সাড়া তারই প্রমাণ। এসিআই মটরসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দ্রুততম সময়ে সকল প্রি-বুকিংকারী গ্রাহকদের কাছে বাইকটি পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর।
ইয়ামাহা এফজেড ২৫ এর সরবরাহ শুরু হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের মোটরসাইকেল বাজারে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অত্যাধুনিক ফিচার এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের এই বাইকটি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরবর হ শ র
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল রিচার্ড কোরেল ভেবেছিলেন, দেশটির পারমাণবিক বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুনানি সহজভাবেই শেষ হবে। তবে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের আগের দিন বুধবার রাত ৯টা ৪ মিনিটে সে আশা ভেঙে গেছে।
ওই সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন। বলেন, তিনি মার্কিন বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা অবিলম্বে শুরু করতে বলেছেন। তাঁর যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের পেছনে থাকতে পারে না।
ট্রাম্প বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় এবং চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিনেটে সশস্ত্র বাহিনী কমিটির প্রায় ৯০ মিনিটের শুনানিতে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে বারবার কোরেলকে প্রশ্ন করা হয়। ট্রাম্পের মন্তব্যে অনেক আইনপ্রণেতাই এ সময় ছিলেন বিভ্রান্ত। এ থেকে বোঝা যায়, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ও এর বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা পরিষ্কার করেননি যে ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থার পরীক্ষা করতে বলছেন, নাকি বিস্ফোরক পরীক্ষায় ৩৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ করতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশ বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, যা শীতল যুদ্ধের ভয়ংকর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য সিনেটর জ্যাক রিড কোরেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা শুরু করলে তা কি বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
কোরেল বলেন, ‘যদি আমাকে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের (স্ট্র্যাটকম) কমান্ডার হিসেবে নিশ্চিত করা হয়, আমার কাজ হবে, পারমাণবিক পরীক্ষাবিষয়ক যেকোনো আলোচনা সম্পর্কে সামরিক পরামর্শ দেওয়া।’
ভাইস অ্যাডমিরাল কোরেলকে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প স্ট্র্যাটকমের প্রধান করার জন্য মনোনীত করেন। স্ট্র্যাটকম পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধ ও আক্রমণের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। কোরেল পুরো শুনানিতে সতর্কভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় ও চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টশুনানির এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প কি পারমাণবিক ডিভাইসের বিস্ফোরক পরীক্ষা নয়, বরং ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষার কথা বলছেন কি না।
জবাবে কোরেল বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য জানি না, তবে এটি এমন একটি ব্যাখ্যা হতে পারে, আমি তা মেনে নিই।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বৈঠকে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিং