চাঁদপুর শহরে মধ্যরাতে মোটরসাইকেল ও রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই চালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মোটরসাইকেলের চালক চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকার মনির মালের ছেলে সমুদ্র মাল (২৫) ও ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক মো.

ঈশা (৩০)।

এ ঘটনায় আহত তিনজন হলেন শহরের বাবুরহাট এলাকার মোটরসাইকেল আরোহী মো. রফিকুল (২৪), রিকশাযাত্রী আফজাল (২৬) ও পথচারী কিশোর সম্রাট (১৪)। তাঁদের মধ্যে রফিকুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়। বাকি দুজনকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার গোলাম হোসেন বলেন, রাত পৌনে ১২টায় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল শহর থেকে বাবুরহাটের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি রিকশা হঠাৎ রাস্তায় মোড় নিলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুটি বাহনই দুমড়েমুচড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলায়েত হোসাইন জানান, দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নিয়ে আসা পাঁচজনের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহার মিয়া বলেন, নিহত ব্যক্তিদের লাশ থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল ও রিকশা জব্দ করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট এল ক

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণায় শোকজ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক সিবিএ নেতা হুমায়ুন কবীর। 

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর অকশন শেড সংলগ্ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় ওই সাবেক সিবিএ নেতা উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। তবে পরে এমন বক্তব্য ভুলবশত, অনিচ্ছাকৃত এবং অজ্ঞতাবশত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপদেষ্টার কাছে এক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হুমায়ুন কবীর। 

ওই সাবেক সিবিএ নেতার এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে গত ১ জুলাই  কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাকে এর উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশের জবাবে হুমায়ুন কবীর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

মো. হুমায়ুন কবীর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট অডিট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এনসিটি বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সর্বশেষ এক কর্মসূচিতে উপদেষ্টাকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ