এক লাইনের ১২ শব্দের একটি চিঠিতে গাজীপুর জেলা বিএনপি তাদের অধীনস্থ ৮টি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। 

মঙ্গলবার (২০ মে) ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাজীপুর জেলা বিএনপি। 

গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। 

তাদের তিনজনের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘গাজীপুর জেলা বিএনপি'র অধীনস্থ সকল ইউনিট কমিটিগুলোকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।’

হঠাৎ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘ গাজীপুরের পাঁচটি উপজেলা ও তিনটি পৌর বিএনপি’র কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ। যে কারণে সবগুলিতে আহ্বায়ক কমিটি করা হবে। আহ্বায়ক কমিটি করার আগে বিলুপ্ত করার নিয়ম রয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “এখন বিলুপ্ত কমিটিসহ অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা হবে।”

গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, “ভবিষ্যতে বিএনপির কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য পুরনো কমিটিকে বিলুপ্ত করে প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। এরপর সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটির করা হবে। যার কারণে জেলার বিএনপি’র ৮টি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।”

ঢাকা/রেজাউল/এস 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণায় শোকজ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক সিবিএ নেতা হুমায়ুন কবীর। 

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর অকশন শেড সংলগ্ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় ওই সাবেক সিবিএ নেতা উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। তবে পরে এমন বক্তব্য ভুলবশত, অনিচ্ছাকৃত এবং অজ্ঞতাবশত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপদেষ্টার কাছে এক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হুমায়ুন কবীর। 

ওই সাবেক সিবিএ নেতার এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে গত ১ জুলাই  কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাকে এর উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশের জবাবে হুমায়ুন কবীর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

মো. হুমায়ুন কবীর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট অডিট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এনসিটি বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সর্বশেষ এক কর্মসূচিতে উপদেষ্টাকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ