সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এর স‌ঙ্গে জ‌ড়িত‌দের বিচার দা‌বি ক‌রে‌ছে‌ন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।

বুধবার (২১ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদের সময় দেশকে বিভিন্ন সিন্ডিকেটে বিভক্ত করে লুটপাট চালানো হয়েছে। জাতির অর্থভাণ্ডার লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই সিন্ডিকেটের ভূত এখনো জাতির ঘাড়ে আগের মতোই চাপিয়ে রাখা হলে তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।”

আরো পড়ুন:

কুয়েত প্রবাসীরা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট সংশোধন করতে পারবেন

মৃত্যুর ৩ মাস পর পরিবার পেল প্রবাসীর মরদেহ

তিনি আরো বলেন, “প্রবাসীরা তাদের জীবনের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে, নিজেদের আরাম-আয়েশের দিকে না তাকিয়ে উপার্জিত অর্থের প্রায় সবটুকু দেশে পাঠান। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে। অথচ অর্থলোভী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সেই প্রবাসীদের নিয়ে তামাশা করে আসছে।”

জামায়াত নেতা বলেন, “সম্প্রতি কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জাতিকে বিচলিত করেছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচারের মুখোমুখি করা অতীব জরুরি।”

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স প রব স দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণের অভিযোগে হাকিমির বিচার দাবি ফরাসি কৌঁসুলিদের

২০২৩ সালে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমির বিচার করার দাবি তুলেছেন ফরাসি কৌঁসুলিরা। মরক্কোর এই রাইটব্যাক অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।

নঁতের কৌঁসুলি অফিস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, তদন্তে নিয়োজিত বিচারককে ধর্ষণের এই অভিযোগ ফৌজদারি আদালতে তোলার অনুরোধ করেছেন ফরাসি কৌঁসুলিরা। কৌঁসুলি অফিস থেকে এএফপিকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিজের আদেশ কাঠামোর ভেতরে থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার এখন তদন্তে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর।’

আরও পড়ুননিষেধাজ্ঞা মেসির পিছু ছাড়ছে না, এবার নিষিদ্ধ হলেন তাঁর দেহরক্ষী৫৭ মিনিট আগে

গত মে মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে পিএসজির ৫–০ গোলের জয়ে বড় অবদান ছিল হাকিমির। পিএসজির প্রথম গোলটি ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের। সর্বশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও প্রথম আরব দেশ হিসেবে মরক্কোর সেমিফাইনালে ওঠায় দারুণ অবদান ছিল হাকিমির। ২০২৩ সালের মার্চে ২৪ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

হাকিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি অভিযোগকারীকে প্যারিসের উপকণ্ঠে বুলান–বিয়ানকুতে অবস্থিত নিজের বাসায় আসার খরচ দেন। তখন হাকিমির স্ত্রী ও সন্তান ছুটি কাটাতে বাইরে ছিলেন। অভিযোগকারী সেই নারী এরপর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এবং তখন পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। সেই নারী আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে না চাইলেও কৌঁসুলিরা হাকিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

পুলিশকে অভিযোগকারী নারী তখন জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইনস্টাগ্রামে হাকিমির সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেই রাতে ট্যাক্সি করে হাকিমির বাসায় তিনি গিয়েছিলেন এবং ভাড়াটা পিএসজি তারকাই দেন। পুলিশকে সেই নারী বলেছিলেন, হাকিমি সম্মতি ছাড়াই তাঁর শরীর স্পর্শ করেন এবং তারপর ধর্ষণ করেন। পুলিশের এক সূত্রও তখন এএফপিকে এ কথা জানায়। এক বন্ধুকে ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে আসতে বলেছিলেন সেই নারী। পরে সেই বন্ধু এসে তাঁকে নিয়ে যান।

আরও পড়ুনরিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে চান না কোনো খেলোয়াড়, ‘বেকায়দায়’ ক্লাব কর্তৃপক্ষ২ ঘণ্টা আগে

কৌঁসুলিরা গতকাল হাকিমির বিচারের দাবি তোলার পর তাঁর আইনজীবী ফ্যানি কোলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এএফপি। তাঁর মতে, কৌঁসুলিদের এ সিদ্ধান্ত, ‘মামলার উপকরণ বিচারে বোধগম্য নয় এবং অর্থহীন। আশরাফ হাকিমিসহ আমরা শান্তই আছি এবং আমরা প্রক্রিয়ার শুরুতে ছিলাম। আমরা অবশ্যই আপিলের সব রকম পথই বের করব।’ কোলিন দাবি করেন, তাঁর মক্কেল, ‘পরিকল্পিতভাবে অন্যায় দাবির শিকার’।

অভিযোগকারী নারীর আইনজীবী র‌্যাচেল–ফ্লোর প্রাদো এএফপিকে বলেছেন, ‘এই মামলার কোনো কিছুতেই অন্যায় দাবির আলামত নেই। আমার মক্কেল এ খবরে (হাকিমিকে বিচারের সন্মুখীন করা) অনেক স্বস্তি পেয়েছে।’

গত মৌসুমে পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল হাকিমির

সম্পর্কিত নিবন্ধ