রাজধানীর বাংলামোটরে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার ভোর চারটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম আরশেদ আহমেদ সরকার (১৮)। তিনি রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন।

হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ভোর চারটার দিকে বাংলামোটর মোড় এলাকায় মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় একটি কাভার্ড ভ্যান। এতে মোটরসাইকেল আরোহী আরশেদ রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই শহিদুল হাসান বলেন, ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়। চালককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

নিহত আরশেদের বাড়ি পুরান ঢাকার লালবাগে। বাবার নাম মো.

আনোয়ার হোসেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৬৪ নেতা-কর্মীকে দুই মামলা থেকে অব্যাহতি

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় করা দুটি পৃথক মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদসহ ৬৪ জন নেতা-কর্মী। আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম সামছুন্নার এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বাবর জহির উদ্দিন ব্যাপারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত করতে না পারায় সব আসামিকে দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক।

অব্যাহতি পাওয়া উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্যাহ সেলিম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আকাশ ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০–দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ রাতে চাঁদপুর-হাইমচর আঞ্চলিক সড়কে ট্রাকে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয়ে ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল হক।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের বকুলতলা রোড–সংলগ্ন রেললাইন এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ও উসকানিমূলক স্লোগানের অভিযোগ এনে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাপাসিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা
  • রামপুরার খাল থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার
  • গাজীপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় আহত পুলিশ ও আনসার সদস্য
  • চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৬৪ নেতা-কর্মীকে দুই মামলা থেকে অব্যাহতি