বাংলামোটরে মোটরসাইকেলে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, কলেজশিক্ষার্থী নিহত
Published: 23rd, May 2025 GMT
রাজধানীর বাংলামোটরে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক কলেজশিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার ভোর চারটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম আরশেদ আহমেদ সরকার (১৮)। তিনি রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ভোর চারটার দিকে বাংলামোটর মোড় এলাকায় মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় একটি কাভার্ড ভ্যান। এতে মোটরসাইকেল আরোহী আরশেদ রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই শহিদুল হাসান বলেন, ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়। চালককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
নিহত আরশেদের বাড়ি পুরান ঢাকার লালবাগে। বাবার নাম মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা: চারজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহের ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য সাত আসামি পলাতক।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাজবাড়ীর নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী ও ফরিদপুরের ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলম শেখ। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খাঁ ও যশোরের শেখহাটি খাঁপাড়ার মনির হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যান। এ সময় দেখা যায় মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলো পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই দিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগাজিনসহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ শহর থেকে কর্মস্থলে রওনা হন। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের পানিভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলামের হাত–পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সদর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে পুলিশ। এজাহারে বলা হয়, মিরাজুল ইসলামের কাছে থাকা অস্ত্র ও মালামাল ছিনিয়ে নিতে তাঁকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।