নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে নারী জেলের রহস্যজনক মৃত্যু
Published: 27th, May 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে রওশানারা বেগম (৪৫) নামে এক নারী জেলের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের আরপাঙ্গাশিয়া নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত রওশানারা ওই ইউনিয়নের দ্বিত্তা আবাসনের কাছেম হাওলাদারের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৪টায় ওই নদীতে মাছ শিকারে যান রওশানারা। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলেও ঘরে না ফেরায় তাকে খুঁজতে থাকেন তার পরিবার ও স্থানীয়রা। রাতে তার সন্ধান না মিললেও সকাল ১০টায় নদীর তীরে জাল টান দিলে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় তার হাতে জালের দড়ি বাধা ছিল।
কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম জানান, নারী জেলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মাদকের টাকা না পেয়ে মারধরে মায়ের মৃত্যু, ছেলে পলাতক
গরু বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়লেন বৃদ্ধ
ঢাকা/ইমরান/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
ইবিতে ছাত্রীর পোশাক নিয়ে শিক্ষকের কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য?’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়’, ‘ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে সমান অধিকার’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘ভেটেরিনারি পরিবারে সমান অধিকার’, ‘সমন্বিত শিক্ষা দেশের সম্মান’, ‘আদিম পশু পালনে নয়, বরং সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় গবি ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”
আরেক শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু করা হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন—উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও স্বৈরাচারী আচরণ।”
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী