বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের পক্ষে একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন- পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান ও শেরেবাংলা নগর থানার ওসি ইমাউল হক।

তারা হাসপাতালের ৪০২ ও ৪০৩ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন মারুফ হোসেন, আমির হামজা শিমুল, আবু তাহের এবং সাগর দে’র চিকিৎসার খোঁজ নেন। জুলাই আন্দোলনে আহতদের যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ পাশে থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

এই উদ্যোগের জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকরা ডিএমপি কমিশনারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আহতদের হতাশা যেন অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হলে আহতরা ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকার আশ্বাস দেন। এ সময় হাসপাতালের পরিচালকসহ আহতদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে উপকমিশনার ইবনে মিজান আহত জুলাই যোদ্ধাদের ফল ও ফুল উপহার দেন। এ সময় আহত জুলাই যোদ্ধারা ডিএমপি তথা বাংলাদেশ পুলিশের এই মানবিক ভূমিকায় গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ আহতদ র ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করতে হবে : মমিনুল হক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার বলেছেন, অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।  

 বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই ) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সাথে মত বিনিময়কালে এ বক্তব্য রাখেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা, দেওয়ান খোরশেদ আলম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম প্রমূখ।   শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ ইমরানের পিতা সালেহ আহমদ, শহীদ মেহেদী হাসানের পিতা মো সানাউল্লাহ। আহতদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো বায়েজিদ, মেহেদী, আশিক, রাজু মণ্ডল, মাসুম প্রমূখ। 

মত বিনিময় সভায় বক্তাগণ বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা গোটা বাংলাদেশে জুলুম নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে নিজেকে নিকৃষ্ট স্বৈরাচার হিসেবে উপস্থাপন করেছিল। রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন পরিবর্তন আনতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ স্বেরাচার হতে না পারে। 

স্বৈরাচারী হাসিনা জনগণের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ছিলো, সংবিধানে এমন পরিবর্তন আনতে হবে যাতে কেউ সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই বিপ্লবের শহীদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে : কাজী মনির 
  • জুলাই সনদ, বিচার, নির্বাচন সব প্যাকেজ আকারে হতে হবে 
  • জুলাই সনদ, বিচার, নির্বাচন সব প্যাকেজ আকারে হতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ 
  • জুলাই সনদ ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করতে হবে : মমিনুল হক