ঈদে অতিথি আপ্যায়নে থাকুক ‘আমের পায়েস’
Published: 29th, May 2025 GMT
কুরবানি ঈদ এমন একটি সময়ে আসছে যে সময়ে প্রচুর পাকা আম পাওয়া যাচ্ছে। ঈদে অতিথি আপ্যায়নে ভারী খাবারের পাশাপাশি রাখতে পারেন আমের পায়েস। অতিথি আপ্যায়নে শেষ পাতে দিতে পারেন এই পদ। জেনে নিন রেসিপি।
উপকরণ:
আমের ক্বাথ: ১ কাপ
তরল দুধ: ১ লিটার
সুগন্ধি বা বাসমতি চাল: ৪ টেবিল-চামচ
ঘি: ১/৪ চা-চামচ
লবণ: এক চিমটি
এলাচ-গুঁড়া বা আস্ত: ৩টি
কিশমিশ ও বাদাম পরিমাণ মতো
গোলাপ জল: পরিমাণ মতো
প্রথম ধাপ: চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর চাল থেকে পানি ঝরিয়ে অল্প পরিমাণ ঘি চালের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
আরো পড়ুন:
মেদ ঝরাবে ডিমের সালাদ
ওজন কমাবে কাঁচা আমের শরবত
দ্বিতীয় ধাপ: একটি পাত্রে ঘি গরম করে বাদাম ও কিশমিশ ভেজে তুলে রাখুন। চুলায় দুধ বসিয়ে তাতে এক লবণ, চিনি ও এলাচ দিন। এবার দুধে বলক উঠলে চাল দিয়ে দিন। চাল সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে রান্না করতে থাকুন।
তৃতীয় ধাপ: দুধ যখন মাখা মাখা হয়ে আসবে তখন বাদাম, কিশমিশ ও গোলাপ জল দিয়ে দেবেন। এরপরে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। এবার আমের ক্বাথ মিশিয়ে নিন। এই পর্যায়ে এসেও চিনি দিতে পারেন। আমের ক্বাথ ভালোভাবে মিশে গেলে কিছুক্ষণ রেখে উপরে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন। এ ছাড়া ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করেও পরিবেশন করতে পারেন।
আমের পায়েস পরিবেশনের সময় পাকা আম কেটে পরিবেশনের পাত্রে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।
আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।