টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চালক ও হেলপারের হাত-পা বেঁধে ৬০ ড্রাম পামওয়েল তেলসহ একটি ট্রাক ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার নাসির গ্লাস কারখানা সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এসময় চালক ও হেলপারকে মারধর করে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

আহতরা হলেন- নওগাঁ সদর উপজেলার আলাউদ্দিনের ছেলে ও ট্রাকচালক আল-আমিন এবং একই এলাকার বাবু মিয়ার ছেলে ট্রাকটির হেলপার টিটু।

আরো পড়ুন:

ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধার মৃত্যু

চালক আল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার আয়াত এন্টারপ্রাইজের একটি ট্রাকে ৬০ ড্রাম পামওয়েল তেল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তারা। রাত ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের নাসির গ্লাস কারখানা সংলগ্ন ব্রিজে ওঠার পর একদল ছিনতাইকারী ট্রাকটির গতিরোধ করে। পরে তারা ট্রাকে উঠে চালক ও হেলপারের হাত-পা বেঁধে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর মহাসড়কের একটি জায়গায় তাদের ফেলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।

ট্রাকের মালিক সনি বলেন, ‘‘রাতেই চালক ফোনে বিষয়টি জানিয়েছে। ট্রাকে ৬০ ড্রামে ১১ হাজার ৪০০ কেজি পামওয়েল তেল ছিল। যার দাম প্রায় ২০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘‘ছিনতাই হওয়া ট্রাকটি উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে।’’

ঢাকা/কাওছার/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদল ও বাম জোটের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ অব্যাহত রেখেছে: ছাত্রশিবির

ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বিবৃতিতে বলেছেন, নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাই, সিট দখল, অপপ্রচার, ট্যাগিং, র‌্যাগিং ও হামলাসহ অপরাধমূলক সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও কক্সবাজার পলিটেকনিক, সরকারি গ্রাফিক্স আর্টস কলেজ, কুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির উদাহরণ তৈরি করেছে। 
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ভর্তিচ্ছুদের জন্য স্থাপিত শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে বিবৃতি বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ ও রংপুরেও বাঁধা দিয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীকে নির্যাতন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারীবাদীরা ছাত্রদলের এ ধরনের গুরুতর অপরাধে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় দুই নারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার হুমকি দেয় ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ছাত্রদল ও বাম জোটের ট্যাগিং ও দায় চাপানোর রাজনীতিও চলছে পুরনো কায়দায়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে’- লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল নেতা আহনাফ তাহমিদ অর্জন। লাশের রাজনীতির বৈধতার বয়ান উৎপাদনে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার ইব্রাহিম আবরার ফাহাদের হত্যা জায়েজ ছিল বলে অভিমত দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ