রূপগঞ্জে দিনব্যাপি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বৃক্ষ রোপণ,স্বাস্থ্যসেবা, পাঠাগার উদ্ধােধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এছাড়া মাদ্রাসা-স্কুলের শিক্ষার্থী, নারী, নানা শ্রেণীপেশার ২০ হাজার মানুষকে আপ্যায়ন করা হয়। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মুড়াপাড়া বিশ্বাবিদ্যালয় মাঠ এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

শনিবার( ৩১ মে ) মুড়াপাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে মাঠে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম ফারুক খোকনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ন আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক হাজী বাছির উদ্দিন বাচ্চু, নুরুন্নবী ভূইয়া, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ, অ্যাডভোকেট গোলজার হোসেন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল মতিন, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ, রূপগঞ্জ থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম প্রিন্স, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ন আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, মামুন মিয়াসহ আরো অনেকে। কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৫০ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই'শ শিক্ষার্থী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এছাড়া শহীদ জিয়াউর রহমানের নামে পাঠাগার উদ্ধোধন করা হয়। ৩ টি ক্যাম্প সাধারণ মানুষের জন্য দেওয়া হয় দিনব্যাপি স্বাস্থ্যসেবা। তরুণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ টি জব ফেয়ার বুথ খোলা হয়। প্রায় ৬০০ বৃক্ষ রোপণ করা হয়।  

সভায় প্রধান অতিথি মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু দেশ স্বাধীনের ঘোষণাই দেননি। তিনি দেশকে আর্ন্তজাতিক মানচিত্রে স্থান করিয়েছেন। সৌদি আরবের মাটিতেও রোপন করেছিলেন নিম গাছ। এখন মক্কা-মদীনার মানুষ ওই গাছকে জিয়া গাছ নামেই চিনে।

নারায়ণঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম ফারুক খোকন বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা। তিনি মানুষের জন্য কাজ করতেন। তরুণ প্রজন্মের আইকন তারেক জিয়া তৃণমূলের নেতা।  পরে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন ব এনপ র স র রহম ন র পগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

 শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতা চান নাই : টিপু 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতা চান নাই। উনি চেয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে কিন্তু সেদিন বাংলাদেশের জনগণ ও শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি নিজেদের রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে  ঠিকই স্বাধীনতা করেছিল।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৪টায় সোনাকান্দা হেভেন কমিউনিটি সেন্টারে বন্দর ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা কি দেখলাম শেখ মুজিবুর স্বাধীনতার চেতনাকে লুন্ঠিত করলেন তার ছাত্রলীগ যুবলী বাহিনী দিয়ে ব্যাংক ডাকাতি শুরু করালেন। মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠিত শুরু করলেন। শুরু করলেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।

যার ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ চালু হলো। শেখ মুজিবর বলল আমি সাড়ে সাত কোটি কম্বল আনলাম চিৎকার করে বলেছে এই গাজি গোলাম মোস্তফা প্রশ্ন করলেন আমার কম্বল কোথায়। শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন বলে ছিলেন বিশ্বের সবাই পেল স্বর্ণের খনি আর আমি পেলাম চোরের খনি। 

তিনি আরও বলেন, আর অপরদিকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন ১৯৭৫ সালে ৭ই নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে সকল জনতা মিলে তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেন। ক্ষমতা নিয়ে উনি কি করলেন সর্বপ্রথম সংসদে বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম সংযোজন করলেন।

বহুদলীয় রাজনীতি চালু করলেন। উনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিলেন বাক স্বাধীনতা তৈরি করলেন। যার ফলে সকল সংবাদ কর্মীরা স্বাধীন সংবাদপত্র পেয়ে আমাদের পক্ষে-বিপক্ষে সবকিছু লিখতে পারেন।

বন্দর ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে  ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।

এছাড়াও অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মদ, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসারুল হক রাহাত, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন মশুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাইলস্টোন স্কুলে হতাহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
  •  শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতা চান নাই : টিপু 
  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • ৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • ৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন