খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে ৯৯ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে মামলা
Published: 2nd, June 2025 GMT
সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রায় ৯৯ কোটি টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা নিজের ভোগদখলে রেখেছেন। এ ছাড়া ৭ কোটি ৭২ লাখ ১৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে সম্পদ গোপনেরও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদক বলছে, মোট ১৫টি ব্যাংক হিসাবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খন্দকার মোশাররফের নামে জমা হয়েছে ৬৩ কোটি ৭৭ লাখ ১১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬ মার্কিন ডলার। একই সময়ে এসব হিসাব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৯৬৭ টাকা এবং ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪০ মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪২ টাকা ও ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৮১৬ মার্কিন ডলার।
দুদক আরও জানিয়েছে, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের প্রকৃত আয়ের পরিমাণ ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৩৫ টাকা, যা তাঁর অর্জিত সম্পদের তুলনায় অনেক কম।
এ ঘটনায় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বিএনপিতে যোগ দিলেন কোচ ও বংশী জাতিগোষ্ঠীর দুই শতাধিক সদস্য
গাজীপুরে কোচ ও বংশী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর দুই শতাধিক সদস্য বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার নৌলাপাড়া এলাকার জেসন গেট মাঠে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
কোচ ও বংশী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এসব সদস্যকে বিএনপিতে বরণ করে নেন দলটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর, গাজীপুর সদর উপজেলার একাংশ ও সেনানিবাস এলাকা) আসনের দলীয় প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। তিনি অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এসব সদস্যকে স্বাগত জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী সরকারের হাতেই তাঁরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, যেখানে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই নিরাপদে থাকতে পারে।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সব সময়ই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করেছেন। আগামীর নেতা তারেক রহমানও তাঁদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। তাঁর ঘোষিত ৩১ দফায় আদিবাসীদের দাবিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিএনপিতে যোগ দিয়ে কোচ ও বংশী জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেদের ভূমি ও বাসস্থান নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন। এসব সমস্যার সমাধানে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা।