গত বছরের শেষ প্রান্ত থেকে দেশ-বিদেশের মঞ্চে ধারাবাহিকভাবে কনসার্ট করে যাচ্ছেন দেশের শীর্ষ ব্যান্ড তারকা জেমস। যার ধারাবাহিকতায় এবার ছুটে যাচ্ছেন মরুর দেশ কাতারে। সেখানে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত ‘এশিয়ান মেগা কনসার্ট’-এ পারফর্ম করতে যাচ্ছেন তিনি। এই সফরে তাঁর সঙ্গী হচ্ছেন দেশের একাধিক তারকা। 

আগামী ৭ জুন কাতারের এশিয়ান টাউন অ্যাম্ফিথিয়েটার, সানাইয়ায় অনুষ্ঠিত হবে কনসার্টটি। সেখানে নগর বাউল-খ্যাত রকস্টার জেমসের সঙ্গে এক মঞ্চে পারফর্ম করবেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম, ইয়ামিন হক ববি, কণ্ঠশিল্পী বেইলি আফরোজ, রিপা, অভিনেতা এজাজ, আরফান, ডান্স মাস্টার ইউসুফ খানসহ আরও অনেকে।

কনসার্টটির আয়োজন করছে কাতারের বাংলাদেশি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দ্য রয়েল আকসা রেস্টুরেন্ট। আয়োজকদের কথায়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জেমসের খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা বহু আগেই বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। কাতারেও তার গানের ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা ঈর্ষনীয়। জেমসের লাইভ কনসার্ট দেখার জন্য তৃষিত সেই সব শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণের জন্যই তাদের এই আয়োজন; যা আরও জমকালো করে তুলতে দেশের আর কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী, কণ্ঠ ও নৃত্যশিল্পীদের এই কনসার্টে যুক্ত করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে নগর বাউল জেমসকে আর দেশের জনপ্রিয় তারকাদের নিয়ে সাজানো ‘এশিয়ান মেগা কনসার্ট’ দর্শক-শ্রোতার কাছে বর্ণাঢ্য করে তুলতে সব রকমের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। সে কারণে তারা আশা করছেন, ৭ জুন রাতটি হবে অবিস্মরণীয় এক সংগীতময় রাত। তারা আরও জানান, কনসার্টের দিন স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় দর্শকের জন্য ভেন্যুর গেট খুলে দেওয়া হবে। কনসার্ট শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে। চলবে রাত পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন আরশিয়া আলম। 

কনসার্টে অংশ নেওয়া অন্যান্য শিল্পীদের কথায় প্রবাসী বাঙালিরা বাংলা গান আর দেশের আলোচিত তারকাদের পারফরম্যান্স দেখার জন্য দিনের পর দিন প্রহর গুনে যান। সে কারণে তাদের আহ্বানে সাড়া দিতেই হয়। তাই চেষ্টা করবেন ‘এশিয়ান মেগা কনসার্ট’-এর পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে দর্শক-শ্রোতার তৃষ্ণা মেটানোর।

কনসার্টের পাশাপাশি জেমস ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁর নতুন গানের আয়োজন নিয়ে। শিগগিরই তাঁর নতুন গানগুলো প্রকাশনা শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন।

এদিকে কিছুদিন আগে কনসার্টের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে সফর করে এসেছেন জেমস। তার আগে সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্র্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এর আগে ও পরে আরও বেশ কিছু দেশে আয়োজিত বিভিন্ন কনসার্টে অংশ নিয়ে কুড়িয়েছেন সংগীতপ্রেমীদের ভালোবাসা। এশিয়া-ইউরোপ-অস্ট্রেলিয়া-আমেরিকার দেশগুলো ছাড়াও নিজ দেশেও বড় বেশ কনসার্টে অংশ নিয়েছেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি অংশ নিয়েছিলেন ‘তারুণ্যের উৎসব’-এ। গানে গানে উন্মাদনা ছড়িয়ে দিয়েছেন দর্শকের মাঝে। এ ছাড়াও এপ্রিলে জেমস ও তাঁর ব্যান্ড নগর বাউল পারফর্ম করেছে স্বাধীনতা কনসার্টে। গত বছর বিজয় দিবসে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ কনসার্টেও পারফর্ম করার মধ্য দিয়ে পূরণ করেছেন শ্রোতাদের প্রত্যাশা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জনপ র য় কনস র ট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ